টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান তখন সাজঘরে। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করছিলেন ইয়াসির আলি চৌধুরি। বাংলাদেশের জন্য বড় হুমকি হয়ে ওঠা কাগিসো রাবাদার বাউন্সার বুঝতে না পেরে আউট হয়ে যান শূন্য রানে জীবন পাওয়া ইয়াসিরও। অধিনায়ক তামিম ইকবালের মতে, এই উইকেটেই সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয়েছে তাদের।
Published : 20 Mar 2022, 10:51 PM
জোহানেসবার্গে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে রোববার রাবাদার বাড়তি বাউন্সে নাকাল হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। নতুন বলে প্রথম স্পেলে এই পেসার ফিরিয়ে দেন সাকিব আল হাসান, লিটন দাস ও ইয়াসিরকে। একটু পর ওয়েইন পার্নেলের বলে মুশফিকুর রহিম বিদায় নিলে ৩৪ রানেই ৫ উইকেট হারায় সফরকারীরা।
পরে মাহমুদউল্লাহ ও মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে আফিফ হোসেনের দুটি পঞ্চাশোর্ধ জুটিতে ১৯৪ রান করতে পারে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকা সেটি পেরিয়ে যায় ৭ উইকেট আর ৭৬ বল হাতে রেখে।
আরও ৪০-৫০ রান বেশি হলে চিত্রটা অন্যরকম হতে পারত বলে মনে হচ্ছে তামিমের। ইয়াসিরের উইকেটই বেশি পোড়াচ্ছে তাকে।
“২৪০-২৫০ এখানে খুব ভালো স্কোর হতে পারত। রাব্বি (ইয়াসির) আর মুশফিক যখন ব্যাটিং করছিল, রাব্বির উইকেটটা সবচেয়ে ‘কস্টলি।’ কারণ, আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হলো রাবাদা। আর তার স্পেলের সেটা সম্ভবত শেষ বল হতো। সে উইকেট পাওয়াতে আরও বাড়তি দুটি (একটি) ওভার বোলিং করে। ছোট ছোট ব্যাপারগুলো বড় কিছু ঘটিয়ে ফেলে।”
২.৫ ওভার বোলিং করার পর পায়ে টান লাগায় মাঠ ছাড়েন পার্নেল। তার বাকি ওভারগুলোর ঘাটতি পুষিয়ে নিতে দক্ষিণ আফ্রিকা সহায়তা নেয় পার্ট-টাইমারদের। সুযোগ কাজে লাগিয়ে জুটি গড়েন আফিফ-মিরাজরা।
প্রথম পাঁচ উইকেটে বড় জুটি গড়তে না পারার আক্ষেপ ঝরল তামিমের কণ্ঠে।
“২-৩ টা উইকেট পড়ে যাওয়ার পর যদি আমরা খেলাটা আরেকটু গভীরে নিয়ে যেতে পারতাম। আফিফ-মিরাজ যেভাবে ব্যাট করেছে সেটাই দেখিয়েছে অনেক রানের সুযোগ ছিল, ওদের মিডল ওভারের বোলিংয়ে।”
“প্রথম ম্যাচে ওদের প্রথম ১০ ওভার আমরা খুব ভালোভাবে সামাল দিয়েছিলাম, সে কারণে মাঝের ওভারগুলো কাজে লাগাতে পেরেছিলাম। আজকের ব্যাপারটা ছিল ভিন্ন। আমরা শুরুতে উইকেট হারাই এবং মাঝের ওভারগুলো কাজে লাগানোর জন্য যথেষ্ট ব্যাটসম্যান ছিল না।”