মাঠে ও মাঠের বাইরে সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া দলের কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারের। বছরের শুরু থেকেই খেলোয়াড়দের সাথে তার সম্পর্ক নিয়ে চলছে কাটাঁছেড়া। ওদিকে মাঠেও দল ভুগছে ধারাবাহিকতার অভাবে। সব মিলিয়ে ল্যাঙ্গার এই পদের যোগ্য ব্যক্তি কিনা, সেই প্রশ্ন উঠেছে বারবার। তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী নিক হকলি জানালেন, তারা ভরসা রাখছেন ল্যাঙ্গার ওপরই।
Published : 18 Aug 2021, 10:07 PM
এই বছর টানা পাঁচটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। যার মধ্যে রয়েছে সবশেষ বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে হার। টেস্ট ও ওয়ানডেতেও দল নেই খুব একটা ফর্মে। বছরের শুরুতে ঘরের মাঠে সিরিজ হারে তারা ভারতের বিপক্ষে। এর মধ্যে সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে বিভিন্ন বিষয়ে কোচের সঙ্গে খেলোয়াড়দের মনোমালিন্যের খবর। প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে ল্যাঙ্গারের কোচিংয়ের ধরন।
তবে গত মে মাসে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পাওয়া হকলি ভরসা রাখতে চান সাবেক এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের ওপর। এক বিবৃতিতে বুধবার তিনি স্তুতিতে ভাসিয়েছেন ল্যাঙ্গারকে। তার বিশ্বাস, সামনের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজে তার কোচিংয়েই দল ইতিবাচক ফলাফলের দেখা পাবে।
“২০১৮ সালে জাস্টিন অস্ট্রেলিয়ান পুরুষ দলের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে সংস্কৃতি, মূল্যবোধ এবং আচরণের উন্নতিতে অবিশ্বাস্য কাজ করেছেন। তার প্রয়াসে জাতীয় দলের প্রতি মানুষের বিশ্বাস ফিরে এসেছে।”
“তিনি আগামী বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রধান কোচ হিসেবে চুক্তিবদ্ধ আছেন। এখন আমাদের মনোযোগ সফল একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযানের দিকে, এরপর আছে ঘরের মাঠে অ্যাশেজ ধরে রাখার লড়াই।”
করোনাভাইরাসের প্রভাবে বদলে যাওয়া ক্রিকেট বিশ্বে ক্রিকেটারদের সইতে হচ্ছে একের পর এক জৈব সুরক্ষা বলয়ের ধকল। তাই বিভিন্ন সিরিজে অনেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন বিশ্রাম নিতে। পূর্ণ শক্তির দল ছাড়া এই সময়ে ল্যাঙ্গারের জন্য কাজটা সহজ ছিল না বলেই মনে করেন হকলি। কোচকে সমর্থন জানিয়ে তারা আশা, দলের সবাই কাজ করবেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজে ইতিবাচক ফলাফলের লক্ষ্যে।
“মহামারীর ১৮ মাস দলকে অনেক ভুগতে হয়েছে এবং চ্যালেঞ্জিং ছিল। এই সব চ্যালেঞ্জের পরও দলে যখন সব খেলোয়াড়কে পাওয়া গেছে, তখন ওয়ানডে, টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দারুণ সাফল্য পেয়েছে।”
“জাস্টিন, তার কোচিং স্টাফ এবং দলের ভেতরের নেতাদের সবার সমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে সামনের সফল গ্রীষ্ম নিশ্চিত করায়।”