ক্যারিয়ারের সবে শুরু। এর মধ্যেই দুবার উপমহাদেশ সফর! শুরুতেই কঠিন পরীক্ষায় পিটার হ্যান্ডসকম। তবু ঘাটতি নেই আত্মবিশ্বাসে। এই বছরই ভারত সফর করে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। সেই সফরের অভিজ্ঞতাই বাংলাদেশে ভরসা জোগাচ্ছে হ্যান্ডসকমকে।
Published : 20 Aug 2017, 08:42 PM
গত নভেম্বরে টেস্ট অভিষিক্ত হ্যান্ডসকমের শুরুটা ছিল স্বপ্নের মতো। প্রথম চার টেস্টে করেন দুটি সেঞ্চুরি, দুটি হাফ সেঞ্চুরি। তবে সেই মধুচন্দ্রিমা শেষ হয় দেশের বাইরে পা রাখতেই। ভারত সফর তাকে নামিয়ে আনে বাস্তবতার জমিনে। চার টেস্টে পঞ্চাশ স্পর্শ করতে পারেন মাত্র একবার।
তবে একমাত্র হাফ সেঞ্চুরিই বিশ্বাস জোগাচ্ছে হ্যান্ডসকমকে। রাঁচিতে সেই টেস্টে শেষ দিনের উইকেটে স্পিন পরীক্ষায় উতরে গিয়েছিলেন এই ডানহাতি। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টায় ২০০ বল খেলে অপরাজিত ছিলেন ৭১ রানে। ৮ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ দিন শুরু করা অস্ট্রেলিয়া বাঁচিয়ে ফেলে ম্যাচ।
হ্যান্ডকমের বিশ্বাস, তার নিজের তো বটেই, বাংলাদেশ সিরিজে গোটা দলেরই অনুপ্রেরণা হবে ওই টেস্ট।
“আমার জন্য ইনিংসটি ছিল অবশ্যই দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। তবে দলের জন্যও। আমি মনে করি, গোটা দলই সেটি থেকে অনেক কিছু বয়ে আনতে পারে। ভারতে আমরা যেভাবে খেলেছি, আমার বিশ্বাস, আমরা প্রায় একই মানসিকতা নিয়ে নামব। আশা করি শুরুটা ভালো হবে আমাদের।”
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই উপমহাদেশে দুটি সফর অস্ট্রেলিযান ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন। হ্যান্ডসকমের বিশ্বাস, এই অভিজ্ঞতা দুজনকেই করবে সমৃদ্ধ।
“উপমহাদেশে অন্যদের মত খুব বেশি অভিজ্ঞতা নেই আমাদের। ভারতে খেলতে পেরেছি বলে আমি ও রেনশ বেশ ভাগ্যবান যে ওই অভিজ্ঞতা এখানে আমাদের কাজে লাগবে।”
“তবে একদিক থেকে অভিজ্ঞতা কম থাকাটা খারাপ নয়, খোলা মন নিয়ে মাঠে নামা যাবে। অভিজ্ঞতা খুব বেশি নেই মানে বল অনেক কিছু করতে পারে ভেবে দুশ্চিন্তা করতে হবে না আমাদের। একটু স্বাধীনতা নিয়ে খেলা যাবে।”
বাংলাদেশকে নিয়ে অবশ্য এখনও খুব বেশি জানাশোনা নেই তাদের। হ্যান্ডসকম জানালেন, সামনেই টিম মিটিংয়ে কাঁটাছেড়া করা হবে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স।
“আমরা অবশ্য জানি নিজেদের কন্ডিশনে বাংলাদেশ দারুণ শক্তিশালী দল। এই সপ্তাহেই আমাদের টিম মিটিং আছে। সেখানে আমরা ওদের পুরো স্কোয়াডে চোখ রাখব। চেষ্টা করব পরিকল্পনা গড়ার এবং সেভাবে খেলার।”