আবাসন শিল্পকে চাঙ্গা করতে বাজেটে ২০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল রাখার দাবি জানিয়েছেন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) নেতারা।
Published : 25 May 2015, 12:45 AM
রোববার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে এক প্রাক বাজেট আলোচনায় এ দাবি জানান তারা।
ছোট ফ্লাটের (সর্বোচ্চ ১৫০০ বর্গফুট) ক্রেতাদের জন্য এই তহবিল চেয়ে তারা বলেন, তাদের জন্য এখান থেকে ৭ থেকে ৯ শতাংশ সুদে ঋণ নেওয়ার সুযোগ রাখতে হবে।
এছাড়া অপ্রদর্শিত আয় আবাসন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ রাখারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, “গত দুই বছর ধরে আবাসন ব্যবসায় ব্যাপক মন্দা যাচ্ছে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক অর্থনীতিতে। আবাসন ব্যবসা চাঙ্গা হলে দুইশর বেশি ধরনের সেবা ও শিল্প চাঙ্গা থাকে। এজন্য আমরা বাজেটে আবাসন খাতের জন্য বিশেষ তহবিল বরাদ্দ চাচ্ছি, যে তহবিল থেকে ক্রেতারা ঋণ নিতে পারবে।”
রিহ্যাব সভাপতি বলেন, “জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে বর্ধিত কর দিয়ে অপ্রদর্শিত আয় সাদা করার পরও যদি সরকারের অন্যান্য সংস্থা এ নিয়ে প্রশ্ন তোলে তাহলে কেউ এ অর্থ বিনিয়োগের সাহস পাবে না। এজন্য যারা আবাসন খাতে এ ধরনের অর্থ বিনিয়োগ করবে তাদের যেন দুদক বা অন্য কোনো সংস্থার প্রশ্নের মুখোমুখি না হতে হয় সে উদ্যোগ বাজেটে স্পষ্ট করা দরকার।”
এছাড়া ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশনে গেইন ট্যাক্স, স্ট্যাম্প ফি ও মূল্য সংযোজন কর কমিয়ে অর্ধেকে নামিয়ে আনা, গৃহায়ন শিল্পের উদ্যোক্তাদের আয় কর কমানো এবং সব ভবনে অগ্নিনিরাপত্তার জন্য আগামী পাঁচ বছর অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ও উপকরণ আমদানি শুল্কমুক্ত রাখারও দাবি জানায় রিহ্যাব।
তাদের এসব দাবি নিয়ে অর্থমন্ত্রী কোনো মন্তব্য করেননি।
রোববারই বাংলাদেশ সিরামিক ওয়্যারস ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফার্নিচার এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের নেতারা অর্থমন্ত্রীর সাথে প্রাক বাজেট আলোচনায় অংশ নেন।
ওই সব সংগঠনের নেতারাও কর ছাড় ও নগদ সহায়তা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
সিরামিক এসোসিয়েশন চার দফা দাবি জানায়। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- আমদানিকৃত মৌলিক কাঁচামাল, ডেকোরেশন ও প্রিন্ট উপকরণ এবং যন্ত্রাংশ ও অত্যাবশ্যকীয় উপকরণের উপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক কমানো এবং সম্পূরক ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার।
এছাড়া দেশীয় টাইলস শিল্প রক্ষার জন্য আমদানিকৃত টাইলসের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের দাবি জানান তারা।
সংগঠনের সভাপতি সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা এসব দাবি তুলে ধরেন।
বিকল্প নগদ সহায়তার দাবি জানিয়েছেন ফার্নিচার ব্যবসায়ীরা।
সংগঠনটির সভাপতি কে এম আকতারুজ্জামান বলেন, “রপ্তানির বিপরীতে আমরা ‘ডিউটি ড্র ব্যাক’ (আমদানিকৃত কাঁচামালের বিপরীতে প্রদত্ত শুল্ক ফেরত) সুবিধা পেয়ে থাকি। কিন্তু এটা পেতে অনেক ঝামেলা হয়। তাই আমরা বিকল্প নগদ সহায়তা চাচ্ছি।”
গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ব্যবসায়ীরা নয় দফা দাবি জানান।