ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের আদেশ প্রত্যাহারের পর আলোচিত এ পণ্যের দাম দেশের বাজারে আরেক দফা কমেছে। পাইকারিতে কেজি প্রতি ৩২ থেকে ৪০ টাকা এবং কোনো কোনো খুচরা বাজারে ৫০ টাকার মধ্যেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ।
Published : 13 Mar 2020, 08:04 PM
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, শ্যামবাজার, মালিবাগবাজার, রামপুরা, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, খিলগাঁও বাজারে ঘুরে এই চিত্র পাওয়া গেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, ভারতের নতুন সিদ্ধান্ত এবং দেশীয় পেঁয়াজ বাজারে ভরপুর আসায় দাম কমছে।
তবে কোনো কোনা বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজ এখনও ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে বিক্রেতারা বলছেন, আমদানি করা আগের কেনা পেঁয়াজ দেশি পেঁয়াজের চেয়ে মানে ‘কিছুটা ভালো’ বলে দামও বেশি।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার চীন, তুরস্ক, মিশর, মিয়ানমার থেকে আমদানি করে বাজার সামলানোর চেষ্টা চালালেও পেঁয়াজের দর একশ টাকার আশপাশে ঘোরাফেরা করছিল।
এর মধ্যে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ভারত আবার পেঁয়াজ রপ্তানির ঘোষণা দিলে বাংলাদেশের বাজারে হঠাৎ দাম কমে আসে।
রাজধানীর পেঁয়াজের অন্যতম পাইকারি বাজার শ্যামবাজারে বাছাই করা দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকায়। আর বাছাই ছাড়া দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৫ টাকায়।
খুচরা বাজারেও পেঁয়াজের দাম কমেছে বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন।
মালিবাগবাজারের মুদিদোকানি মো. আরমান বলেন, “বাজারে দেশি পেঁয়াজটা বেশি, আমদানি বার্মাও আছে। তবে আমদানি পেঁয়াজ একটু বেশি পরিষ্কার হওয়ায় দামও বেশি। দেশিটা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা আর আমদানি করা পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।”
আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ার কারণ সম্পর্কে রামপুরা বাজারের তাহের স্টোরের দোকানী আবু তাহের বলেন, “আমদানি করা পেঁয়াজটা পুরাতন ও নষ্ট কম হয়, দেখতেও সুন্দর; সে কারণে দাম একটু বেশি।”
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে দাম আরও কমবে বলে মনে করেন তিনি।
পেঁয়াজের দাম কমলেও আমদানি করা রসুনের দাম কমেনি। তবে দেশি রসুনের দাম আগের তুলনায় কিছুটা কম বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন।
এদিকে কাঁচাবাজারগুলোতে সবজির দামে তেমন হেরফের দেখা যায়নি।
বাজার ও মানভেদে বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বেগুন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, শসা ২০ থেকে ৩০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে মাঝারি আকারের প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
বিক্রেতারা জানান, বড় ইলিশ এক হাজার থেকে ৯০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। শোল মাছ ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, পাবদা ও টেংরা ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ টাকা, বোয়াল বড় ৮০০ টাকা, দেশি কই ৬০০ টাকা, চাষের কই ৩০০ টাকা, শিং ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।