মূল্য সংযোজন কর কাঠামোতে সংশোধন করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রজ্ঞাপন জারি করায় গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট মূল্য কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।
Published : 19 Jul 2018, 12:20 AM
বুধবার আইএসপিএবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, খুব শিগগিরই গ্রাহকরা তাদের মাসিক ইন্টারনেট বিলে হ্রাস-কৃতহারে আরোপিত মূসকের সুফল দেখতে পাবেন।
আইএসপিএবি জানায়, গত ১৮ জুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ইন্টারনেট খাতে প্রচলিত মূল্য-সংযোজন-কর কাঠামোতে সংশোধন করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। সংশোধিত নিয়মে, ব্রডব্যান্ড ক্রয়ে ১৫ শতাংশের এর পরিবর্তে ৫ শতাংশ এবং চূড়ান্ত ইন্টারনেট সেবায় ১৫ শতাংশ এর পরিবর্তে ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর আরোপ করার কথা জানানো হয়।
কিন্তু ইন্টারনেট ট্রান্সমিশন (এনটিটিএন) চার্জের ক্ষেত্রে আগের মতোই ১৫ শতাংশ মূসকই বহাল রাখা হয়েছে। এ পরিবর্তনের ফলস্বরূপ, আইএসপি অপারেটরা পূর্বে ব্যান্ডউইডথ ক্রয় এবং ট্রান্সমিশন চার্জে যে ১৫ শতাংশ হারে মূসক রেয়াত পেতেন, বিধি অনুযায়ী তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অকার্যকর হয়ে যায়।
সংশোধিত মূসক বিধি জারির পরিপ্রেক্ষিতে সবার কাছে স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সব সদস্য প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে বলে জানায় আইএসপিএবি।
তবে সংশোধিত মূসক বিধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে, গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর ক্ষেত্রে আইএসপি অপারেটরা কিছু বাস্তব সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন বলেও জানিয়েছে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠনটি।
তারা বলছে, ব্যান্ডউইডথ ট্রান্সমিশন (এনটিটিএন) চার্জে ১৫ শতাংশ হারে মূসক বজায় থাকা এবং রেয়াতের বিধান অকার্যকর হয়ে যাওয়ার ফলে সার্ভিস প্রোভাইডারদের ব্যান্ডউইডথ ট্রান্সমিশন ব্যয় আগের চেয়ে বাড়ছে।
আইএসপিএবি বলছে, আইএসপি অপারেটরের মোট পরিচালন ব্যয়ের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই ব্যয় হয় ব্যান্ডউইডথ ট্রান্সমিশনে। ট্রান্সমিশন চার্জের এই বৃদ্ধির প্রভাবে মোট পরিচালন ব্যয়ও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাচ্ছে।
“এ কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্য হ্রাস, এমনকি বর্তমান মূল্য বজায় রাখাও আইএসপি অপারেটরদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
এক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দিক-নির্দেশনা আশা করছে আইএসপিএবি।