বইমেলা ঘুরে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা পেল বিকাশের দেওয়া বই

আগ্রহীরা নতুন-পুরনো বই যেমন দিতে পারবেন বইমেলার বিকাশ বুথে, তেমনই দিতে পারবেন সারাদেশের বিকাশ গ্রাহক সেবা কেন্দ্রেও।

আগের তিনবারের মতো এবারও বইমেলায় আসা দর্শনার্থী-লেখক-প্রকাশকদের কাছ থেকে বই সংগ্রহ করে তা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে বিতরণ করার কথা জানিয়েছে বিকাশ।

শুক্রবার বিকালে মেলা প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বই বিতরণ করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, এ দিন বইমেলায় প্রথমবারের মতো ঘুরতে আসা নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থী শুভজিত, আরেফিন ও শুভ্রজিৎ তাদের প্রতিষ্ঠানের তরফে বই গ্রহণ করে।

একইভাবে বই গ্রহণ করে রাজশাহী আলোর পাঠশালার মণিকা, সুরভী, জেসমিন ও ঐশি এবং রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বাবুডাইং আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থী সুদিপ, সাকিবুল ও আল আমিন। এই তিন প্রতিষ্ঠানই প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালনা করে আসছে।

এসব সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের হাতে বইগুলো তুলে দেন প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক এবং বিকাশের হেড অব কর্পোরেট কমিউনিকেশনস শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম।

অনুষ্ঠানে আনিসুল হক বলেন, “বিকাশের উদ্যোগে বই সংগ্রহ করে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণের এই প্রয়াস তাদের মেধা ও মনন বিকাশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আমরা যদি স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ নিজ সাধ্য অনুযায়ী বই অনুদান করি, তবে আলো ছড়িয়ে যাবে প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীসহ সবার মাঝেই।”

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাথে বইয়ের সম্পর্ক গড়ে তুলতে কয়েক বছর ধরেই বিকাশ কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে হায়দার ডালিম বলেন, “এ বছর পাঠক-লেখক-প্রকাশকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা বইয়ের সাথে বিকাশের দেওয়া বই যোগ করে তা সারাদেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে প্রথম আলো ট্রাস্টের মাধ্যমে বিতরণ করবে বিকাশ। ফলে পাঠকরা যত বেশি বই দিবেন, ততো বেশি সংখ্যক সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা বই পড়ার সুযোগ পাবে।”

বইমেলা উপলক্ষে গত তিন বছরে মোট সাড়ে ৭২ হাজার বই বিকাশ বিতরণ করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিকাশ জানিয়েছে, বই বিতরণ কার্যক্রমকে সফল করে তুলতে এবারও মেলা প্রাঙ্গণে বুথ তৈরি করেছে বিকাশ। আগ্রহীরা বুথে এসে নতুন-পুরনো সব ধরনের বই দিতে পারছেন।

এছাড়া যারা ঢাকার বাইরে আছেন, তারা নিজ নিজ এলাকার বিকাশ গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে গিয়েও বই দিয়ে আসতে পারবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।