Published : 06 Jan 2013, 03:03 PM
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এ দেখতে পেলাম খবরটি।
খবরটি আমার অফিসের অফিস সহকারীও দেখলো। দেখে ও মন্তব্য করলো, "এতো নিজের সাপে খাইছে খালেদাকে"। ও হরতালকে সাপ বলেছে।
গত কিছুদিন ধরেই সাপ ও সাপের ঝাঁপি নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক, আলোচনা-সমালোচনা, লেখা-লেখি হয়ে গেল। এখনো চলছে। অনেক সাঁপের পর নতুন একটি সাঁপের নামকরণ হল। সেটি হল রাজাকার সাঁপ। আমার অফিস সহকারীর দেয়া আরেকটি সাঁপ পাওয়া গেল । আর সেটি হল হরতাল সাঁপ। তাহলে মোট নতুন দু'টি নতুন প্রজাতীর সাপ পাওয়া গেল। তা হল "রাজাকার সাঁপ" ও "হরতাল সাঁপ"।
রাজাকার সাঁপ নিয়ে যতটা চলেছেন, হরতাল সাঁপ নিয়ে ততটা চলেননি। যদিও হরতাল সাঁপ কমই ছেড়েছেন, যেকটা ছেড়েছেন তুলনামূলকভাবে জনমানব ও সম্পদের ক্ষতি হয়েছে অনেক বেশী। সঠিক জায়গায় ও সঠিক সময়ে হরতাল সাঁপ ছাড়তে ব্যর্থ হয়েছেন। বেশীরভাগ হরতাল সাঁপ ছেড়েছেন নিজের স্বার্থে। ছেলেদের রক্ষার জন্য, বাড়ীর জন্য ও রাজাকারদের জন্য। জনস্বার্থের জন্য কোন হরতাল সাঁপ নেই গত চার বছরে। অথচ অনেক বড় বড় ইস্যু ছিল। ওগুলো মনে হয় চোখেই দেখেননি। করবেন কিভাবে? এসি ছাড়া তো মাঠে নামতে পারেন না। গরম যে সহ্য হয় না। তারউপর নিজের ছাড়া বিষাক্ত সাঁপ। সে সাঁপ যে কাউকে ছাড়ে না।
আজ ০৬ জানুয়ারী ২০১৩ বেগম খালেদা হরতাল সাঁপ ছেড়েছেন, এই সাঁপ হয়তো এতই বিষাক্ত যে তিনি নিজেই বের হতে সাহস পাচ্ছেন না। যদি নিজেকেই ছোবল মারে। গাড়ী নিয়েও বের হতে পারছেন না । যদি গাড়ী সাঁপে খায় তাহলে প্রিয় গাড়ীর জন্য হয়তো আবার কাঁদতে হবে। (যেমনটা কেদেছিলেন সেনানিবাসে বাড়ীর জন্য)।
আজ তিনি বের হতে পারবেন না। কিন্তু বের হতে হবে আমরা যারা খেটে খাওয়া মানুষদের। আমাদের বের না হলে যে পেট চলবে না। উনি তো একবেলার আহার বাসায় পাঠিয়ে দিবেন না। সাঁপ যত বিষধরই হোক আমাদের বের হতে হবে। আর বের হতে হবে তার অধীনস্ত নেতা কমীদের। সাঁপে ছোবল দিলেও তাদের বের হতেই হবে।