সোনা চোরাচালানে জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
Published : 20 Nov 2014, 06:13 PM
বেসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে বিমান কর্মকর্তাদের কথা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।”
সোনা চোরাচালানে জড়িত অভিযোগে মঙ্গলবার পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ, যাদের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) এমদাদ হোসেন রয়েছেন।
গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- বিমানের প্ল্যানিং অ্যান্ড শিডিউলিং প্রধান ক্যাপ্টেন আবু মোহাম্মদ আসলাম শহীদ, শিডিউল ম্যানেজার তোজাম্মেল হোসেন, উত্তরার ফারহান মানি এক্সচেঞ্জের মালিক হারুন অর রশিদ এবং বিমানের ঠিকাদার মাহমুদুল হক পলাশ।
আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার আদালতের মাধ্যমে চারদিনের রিমান্ডে নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
গত প্রায় দুই বছর ধরে দেশের প্রধান দুই বিমানবন্দর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় প্রতিদিনই সোনার চালান ধরা পড়লেও এই প্রথম গুরুত্বপূর্ণ কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ভবিষ্যতে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা যাতে এ ধরনের অপরাধে জড়িয়ে না পড়ে সেজন্য বিমানের শিডিউল ‘সম্পুর্ণ কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে’ করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী মেনন।
এদিকে দিনভর চেষ্টা করেও এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি বিমান কর্তৃপক্ষের।
বিমানের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক থেকে শুরু করে জনসংযোগ বিভাগের কোনো কর্মকর্তাই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি।এমনকি গণমাধ্যমকর্মীদের বিমান কার্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
সাংবাদিকদের ভেতরে ঢুকতে দিতে নিষেধ করা হয়েছে বলে কার্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা জানান,