জ্বালানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় আদালতের নির্দেশে মংলা বন্দরে দুটি বিদেশি জাহাজ আটক করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
Published : 17 Oct 2014, 09:52 PM
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া জানান, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার ওই জাহাজ দুটি আটক করা হয়। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় এ দুই জাহাজকে আটকের আদেশ দেয় হাই কোর্ট।
জাহাজ দুটি প্রায় সাড়ে ৩৭ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার নিয়ে বর্তমানে মংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকায় অবস্থান করছে। বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) এই সার আমদানি করেছে।
জাহাজ দুটি হলো কুক আইল্যান্ডের পতাকাবাহী ‘এমভি মিলিমাস’ এবং লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি ‘এশিয়ান প্রসপারিটি’।
এমভি মিলিমাস গত ১০ অক্টোবর এবং এমভি এশিয়ান প্রসপারিটি ১৬ অক্টোবর মংলা বন্দরে নোঙ্গর করে।
বন্দর চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান শুক্রবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) উচ্চ আদালতের নির্দেশনার অনুলিপি হাতে পেয়ে ‘এমভি মিলিমাস’ আটক করা হয়।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কে এম আকতারুজ্জামান বলেন, জাহাজ দুটি বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) আমদানি করা প্রায় সাড়ে ৩৭ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সারসহ বন্দরের হারবারিয়া এলাকায় অবস্থান করছে।
হাই কোর্টের নির্দেশনা পেয়ে জাহাজ দুটি আটক করা হয় বলে জানান তিনি।
‘এমভি মিলিমাস’র স্থানীয় এজেন্ট ‘ট্রাস্ট শিপিং এজেন্সি’র মালিক ফয়সাল আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, চট্টগ্রামের ‘ফ্রেন্ডস মাল্টি ট্রেডার্স কোম্পানি’ নামের একটি জ্বালানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান গত ২১ এপ্রিল এমভি মিলিমাসকে ২ লাখ ১৪ হাজার ৭৫২ ইউএস ডলার মূল্যের জ্বালানি সরবরাহ করে।
কিন্তু জাহাজ কর্তৃপক্ষ এখনো এ মূল্য পরিশোধ করেনি।
এ অভিযোগে গত সোমবার (১৩ অক্টোবর) ফ্রেন্ডস মাল্টি ট্রেডার্স কোম্পানির কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম হাই কোর্টে এমভি মিলিমাসের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
এছাড়া এশিয়ান প্রসপারিটির বিরুদ্ধে মামলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।