ব্যক্তি শ্রেণির কর দাতাদের আয়কর বিবরণী দাখিলের সময় এক মাসের বেশি বাড়ানো হয়েছে।
Published : 29 Sep 2014, 11:16 AM
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ এ মু’মেন সোমবার জানান, এখনো যারা আয়কর বিবরণী দেননি- তারা ২ নভেম্বর পর্যন্ত তা জমা দিতে পারবেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হজ, ঈদ ও পূজার কারণে অনেক করদাতা আয়কর বিবরণী জমা দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে পারেননি। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আয়কর বিবরণী জমার সময় বাড়ানো হয়েছে।”
সাধারণত প্রতিবছর অর্থবছরের প্রথম তিন মাস অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আয়কর দেওয়ার সময় থাকে। কিন্তু প্রতিবারই এক বা একাধিকবার সময় বাড়ানো হয়। বেশির ভাগ সময় ব্যবসায়ীদের অনুরোধে এ সময় বাড়ানো হয়। এ পর্যন্ত কোনো বছরই নির্দিষ্ট সময়ের (৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আয়কর) পরে সময় না বাড়ানোর নজির নেই।
গত বছর কয়েক দফায় সময় বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘রিটার্ন’ জমা নেয়া হয়।
আগামী ৩১ অক্টোবর শুক্রবার ও ১ নভেম্বর শনিবার সরকারি ছুটি থাকায় ২ নভেম্বর রোববার পর্যন্ত আয়কর বিবরণী জমা দেয়ার সময় বাড়ানো হয়েছে বলে এনবিআর’র জনসংযোগ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এ বছর আয়কর বিবরণী জমায় তেমন একটা সাড়া পাওয়া যায়নি বলে এনবিআর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখন টিআইএনধারী (কর শনাক্তকরণ নম্বর) করদাতার সংখ্যা ১৮ লাখের মত।
এরমধ্যে গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১৩ লাখ করদাতা বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দেন।
এবার ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ছাড়া রিটার্ন জমা নিচ্ছে না এনবিআর। ইটিআইএন নিতে এনবিআরের ওয়েবসাইটে গিয়ে পুরনো টিআইএনের বিপরীতে পুনর্নিবন্ধন করতে হয়।
রাজধানীসহ সব বিভাগীয় শহর ও জেলায় অনুষ্ঠিত করমেলায় এবার এক লাখ ৪৯ হাজার ৩০৬ জন আয়কর বিবরণী জমা দিয়েছেন। আর এ থেকে আয়কর পাওয়া গেছে এক হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা। গত বছর মেলায় এক লাখ ৩২ হাজার আয়কর বিবরণী জমা পড়েছিল।
তবে এ বছর এখন পর্যন্ত সার্কেল কার্যালয়ে কী পরিমাণ বিবরণী জমা পড়েছে, সেই চূড়ান্ত হিসাব এখনো পায়নি এনবিআর। এনবিআরের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, সব মিলিয়ে তিন লাখের মতো আয়কর বিবরণী জমা পড়তে পারে।
প্রত্যেক টিআইএনধারীর আয়কর বিবরণী জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।
নির্দিষ্ট সময়ে আয়কর বিবরণী জমা না দিলে জরিমানা করার বিধানও রয়েছে। একসঙ্গে এক হাজার টাকা কিংবা প্রতি কর্মদিবসের জন্য ৫০ টাকা করে জরিমানা আরোপ করা হতে পারে।
আবার আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী রিটার্ন দাখিলের জন্য সময় বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে করদাতাদের। সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারের কাছে যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করতে পারেন করদাতা। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপকর কমিশনার চাইলে ওই করদাতাকে তিন থেকে ছয় মাস সময় বাড়িয়ে দিতে পারেন।