চট্টগ্রামে নওগাঁর এক বিচারকের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার চার আসামিকে ফের হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
Published : 23 Sep 2014, 07:56 PM
মঙ্গলবার পাঁচ দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তারদের আদালতে হাজির করে পুনরায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চাওয়া হয়। শুনানি শেষে মহানগর হাকিম নূরে আলম ভূঁইয়া এ অনুমতি দেন।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর নগরীর হালিশহর থানার মোল্লা পাড়া এলাকায় দ্বিতীয় স্ত্রী দাবিদার সানজিদা আহমেদ মিশু নামে এক নারীর বাসায় মারা যান ৪৫ বছর বয়সী অতিরিক্ত জেলা জজ কাজী আবদুল হাসিব মো. সাঈদ।
মিশু ও অন্যরা দাবি করেছেন, বিচারক আত্মহত্যা করেছেন।
চট্টগ্রাম আদালত পুলিশের সহকারী কমিশনার নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আসামিদের প্রথম দফা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নূরে আলম ভূঁইয়ার আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ৮ দিন করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়।
“আদালত বিচারকের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবিদার সানজিদা আহমেদ মিশু, সানজিদার মা লাকী আক্তার ও বড় ভাই ইমরান হোসেনের পাঁচ দিন করে এবং গৃহকর্মী রিনা আক্তারের জন্য দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।”
ওই রাতেই চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) এস এম তানভীর আরাফাত জানান, নিহত বিচারকের মাথায় আঘাতের বড় চিহ্ন আর গলায় দাগ আছে।
তার পরদিন সাঈদের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করা সানজিদা, তার মা, বাবা, বড়ভাই ও গৃহকর্মীকে আসামি করে একটি মামলা করে পুলিশ।
ঘটনার পরপর সানজিদার বাবা নাসির আহমেদ ছাড়া বাকি সবাইকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও হালিশহর থানার এসআই ওয়ালী উল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা বিচারক ‘আত্মহত্যা’ করেছে বলে জানিয়েছে।
“কিন্তু এটা পরিকল্পিত হত্যা মনে হওয়ায় তাদের পুনরায় রিমান্ডে আনার আবেদন জানিয়েছি।”