রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি হল দখলের চেষ্টার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে পুলিশ।
Published : 19 Sep 2014, 11:08 AM
মতিহার থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে থানার এসআই মাসুদার রহমান বাদী হয়ে পুলিশের উপর হামলা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দুটি করেন।
প্রতি মামলায় ছাত্রশিবিরের ৩০ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং বাকিদের অজ্ঞাতপরিচয় দেখিয়ে মোট ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
দুই মামলায় ১০ শিবির নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান ওসি আলমগীর।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শিবিরকর্মীরা রুয়েটের একটি সেমিনার বন্ধ করতে গেলে রুয়েট শাখা শিবিরের সেক্রেটারি আহমেদ ইয়াসির ও সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদকে আটক করে পুলিশ। পরে শহীদ লে. সেলিম হলে ছাত্রলীগের সঙ্গে শিবিরের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ ১১ শিবিরকর্মীকে আটক করে।
এরপর একই দিন বিকাল ৫টার দিকে শিবিরের নেতাকর্মীরা হাতবোমা ফাটিয়ে শহীদ সেলিম হল দখলের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।
এ উত্তেজনাকর পরিস্থতির কারণে এবং নাশকতার আশঙ্কায় রাতেই অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের এক জরুরি সভায় পূজা ও ঈদের ছুটি ১০ দিন এগিয়ে এনে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
শুক্রবার সকাল ১০ টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী নূর ইসলাম অভিযোগ করেন, "বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষে হঠাৎ হল ছাড়তে বলায় আবাসিক শিক্ষার্থীদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। বিশেষ করে যারা দূরের শিক্ষার্থী তারা বেশি সমস্যায় পড়ে।"
এদিকে শিক্ষার্থীরা যাতে নিরাপদে হল ছাড়তে পারে সে ব্যবস্থা হিসেবে শহীদ লে. সেলিম হলের সামনের এলাকাসহ ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এতে শিক্ষার্থীরা সুষ্ঠভাবেই হল ছেড়ে নিজ নিজ গন্তব্যে রওনা দেন বলে জানান মতিহার থানার ওসি আলমগীর হোসেন।