ভারতীয় ভিসা পেতে ই-টোকেন পদ্ধতি নিয়ে সমস্যার সমাধানে দেশটির সরকার পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।
Published : 09 Sep 2014, 09:14 PM
মঙ্গলবার এ কে এম রহমতুল্লাহর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ই-টোকেন নিয়ে সৃষ্ট সমস্যার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার অবগত। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ও ঢাকায় দেশটির হাই কমিশনে বিষয়টি বার বার উত্থাপন করা হয়েছে।সমস্যা সমাধানে ভারত সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে আমাদের জানিয়েছে।”
ভারতীয় দূতাবাসের নিয়ম অনুযায়ী ভিসাপ্রার্থীরা অনলাইনে ফরম পূরণ করলে ওয়েবসাইট থেকে একটি ‘ই-টোকেন’ ও সাক্ষাৎকারের তারিখ পাবেন। নির্ধারিত তারিখে ওই টোকেন ও পূরণ করা ফরমের প্রিন্টেড কপিসহ আবেদনকারীকে সাক্ষাৎকারের জন্য দূতাবাসে উপস্থিত থাকতে হবে।
নিয়ম মেনে ওয়েবসাইটে গিয়ে ফরম পূরণ করা হলেও সাক্ষাৎকারের তারিখ ও ই টোকেন পাওয়া যায় না বলে আবেদনকারীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ। ওয়েবসাইটে তারিখ পাওয়া না গেলেও একটি চক্র অর্থের বিনিময়ে ই টোকেন এর ব্যবস্থা করে দেয় বলে সংবাদপত্রে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভিসা পদ্ধতি আরো কার্যকর করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।
“ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিটি দেশের নিজস্ব নীতিমালা রয়েছে। বাংলাদেশি নাগরিকদের সুবিধার জন্যই ভারতীয় দূতাবাস অনলাইনে ভিসা আবেদনের পদ্ধতি চালু করে। পুরনো পদ্ধতিতে ফিরে গেলে সমস্যা আরো বাড়বে।”
এক সম্পূরক প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে প্রতিমন্ত্রী শাহারিয়ার আলম জানান, ৬৫ বছরের বেশি এবং ১৩ বছরের কম বয়সীদের পাঁচ বছরের ভিসা দেয়ার ব্যাপারে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন।
“আবেদনকারীদের ভিড় কমাতে ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরগুলোতে ভিসা সেন্টার খোলার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভারত। আমরা বিষয়টি বিবেচনা করছি। এটা করা সম্ভব হলে ভিসা পাওয়া সহজ হবে।”
আরেক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী বলেন, সরকার তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি করার ব্যাপারে আন্তরিক ও তৎপর।
“ভারতে নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পরে তিস্তা চুক্তি সম্পাদনের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক যোগাযোগ ও চাপ অব্যাহত রয়েছে।”
যৌথ নদী কমিশনের পরবর্তী বৈঠকের জন্য ভারতকে অনুরোধ করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ভারত জানিয়েছে চুক্তির বিষয়টি তাদের বিবেচনাধীন। এ বিষয়ে ভারতে ‘অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ঐকমত্য’ গঠনের চেষ্টা চলছে।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ৫২টি দেশে বাংলাদেশের ৬৮টি দূতাবাস ও কনস্যুলেট অফিস রয়েছে। অস্ট্রিয়া, পোল্যান্ড ও ডেনমার্কে দূতাবাস স্থাপনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে।
১৪টি দেশে ১৫টি মিশনের নিজস্ব জমি আছে জানিয়ে মাহমুদ আলী বলেন, বেইজিং, ব্রাসেলস, নয়া দিল্লী, কলকাতা, লন্ডন, দক্ষিণ আফ্রিকা, আংকারা, পাকিস্তানের ইসলামাবাদ, মিয়ানমারের নে পি ত, মালয়েশিয়ার পুত্রজায়া, জাপানের টোকিও, সৌদি আরবের বিয়াদ এবং নেপালের কাঠমান্ডুতে নিজস্ব জমিতে ভবন নির্মাণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরাতে জমি কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে বলেন জানান মন্ত্রী।