যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক খান মিল্কী হত্যা মামলার আসামি মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুকে কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।
Published : 02 Sep 2014, 05:15 PM
মঙ্গলবার টিপুকে আদালতে হাজির করে দশ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী সুপার এ বি এম সিদ্দিকুর রহমান।
অন্যদিকে টিপুর আইনজীবী গাজী জিল্লুর রহমান জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে মহানগর হাকিম আনোয়ার ছাদাত দুই আবেদন নাকচ করে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে টিপুকে কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
গত ২৩ জুলাই টিপু হাই কোর্টে আত্মসমর্পণ করলে তাকে চার সপ্তাহের অন্তবর্তীকালীন জামিন দেয়া হয়। ওই সময় শেষ হওয়ায় গত ২০ অগাস্ট তিনি মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির হয়ে নতুন করে জামিনের আবেদন করেন।ওইদিন আদালত তা নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ওই বিপণি বিতানের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিওচিত্র দেখে ‘মূল’ হত্যাকারী হিসেবে যুবলীগ নেতা এইচ এম জাহিদ সিদ্দিক তারেককে চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।তারেক গ্রেপ্তার হওয়ার পর খিলক্ষেতে র্যাবের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন বলে দাবি করা হয়।
মিল্কী হত্যার ঘটনায় গুলশান থানায় একটি মামলা করেন তার ভাই মেজর রাশিদুল হক খান। এতে তারেকসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
গত ১৫ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. কাজেমুর রশীদ ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।
কিন্তু বাদী ওই অভিযোগপত্র নিয়ে আপত্তি জানালে মহানগর হাকিম তারেক মঈনুল ইসলাম ভূইয়া গত ১৭ জুন নতুন করে এ মামলার তদন্তের নির্দেশ দেন।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এএসপির নিচে নন- এমন পদমর্যাদার কোনো কর্মকর্তার মাধ্যমে মামলাটি পুনরায় তদন্ত করে ১০ অগাস্টের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেন বিচারক।
মামলার বাদী ও মিল্কীর ভাই রাশেদুল হক খান সেদিন অভিযোগ করেন, হত্যা মামলার মূল সাত আসামিকেই অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
জাহিদুল ইসলাম টিপু, ওয়াহিদুল আলম আরিফ, আহকাম উল্লাহ, আমিনুল এহসান বাবু ওরফে টমেটো বাবু ওরফে ডিশ বাবু, মাহবুবুল হক হিরক, এনামুল হক ও মাসুম উদ্দিন আহমেদের বিষয়ে সিআইডির মাধ্যমে অতিরিক্ত তদন্ত করে তাদের নাম অভিযোগপত্রে যুক্ত করার আবেদন করেন তিনি।