আইন অনুযায়ী হালনাগাদ না হওয়া দেশের প্রায় ছয় হাজার ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
Published : 31 Aug 2014, 09:07 PM
রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
“প্রত্যেক জেলা প্রশাসককে মাসিক সমন্বয় সভায় এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সচিবের পক্ষ থেকে এজন্য প্রত্যেক জেলা প্রশাসককে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।”
২০১৩ সালে ইট প্রস্তুত ও ইটভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংসদে পাস হয়। এ আইনে ইটভাটা স্থাপনে সুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়।
এদিকে পরিবেশ আইন এবং পরিবেশ আদালত আইনের মধ্যে ‘অসামঞ্জস্য’ দূর করার উদ্যোগ নিতে মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি।
এ প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, “পরিবেশ আদালত আইনে বলা হয়েছে, যে কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগ এনে মামলা করতে পারবে। কিন্তু পরিবেশ আইনে বলা হয়েছে, মামলা করতে পারবে পরিবেশ অধিদপ্তরের মাধ্যমে।”
“এ ধরণের অসামঞ্জস্য দূর করে আইনগুলোর মধ্যে সমন্বয় আনতে বলা হয়েছে।”
দেশের প্রত্যেক জেলায় পরিবেশ আদালত স্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বৈঠকে গণমাধ্যমের সহায়তায় পলিথিন ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সাঁড়াশি অভিযান জোরদার করা, রিসাইক্লিং ব্যবস্থা চালু রাখা এবং পাটজাত দ্রব্য ব্যবহারের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, মো. আব্দুর রহমান, নবী নেওয়াজ, মো. ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী, টিপু সুলতান ও মেরিনা রহমান অংশ নেন।