বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলার বিচারে ধীরগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
Published : 23 Aug 2014, 12:26 AM
আইন বিচার ও সংসদ সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পরবর্তী সভায় এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা চাইবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় ২২ জন নিহত হন। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত নিজেও ওইদিন সমাবেশে অংশ নিয়ে আহত হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, “আমি ওয়াদা করছি, আগামী সংসদীয় কমিটির সভায় মন্ত্রণালয়ের কাছে আমি ব্যাখ্যা চাইব। তাদের আমার কমিটিতে ডাকব। পরে আমরা সবাই মিলে এই মামলার যেসব প্রতিকূলতা আছে, তা দূর করে দ্রুত বিচার সম্পন্ন করা হবে।”
এই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে আইন মন্ত্রণালয়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “যদিও বিচার বিভাগ স্বাধীন, তারপরও আইন মন্ত্রণালয়কে এর দায়িত্ব নিতে হবে। যেসব পিপি এই মামলায় সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না, তাদের থাকার দরকার নেই।”
সেদিনের বোমা হামলার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার বড়ছেলে তারেক রহমান ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদকে দায়ী করেন সুরঞ্জিত।
তিনি বলেন, “ওই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তার গুণধর ছেলে তারেক রহমান ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ। হাওয়া ভবনে বসেই চারদলীয় জোটের নেতারা তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল।
“সংসদে যখন আমরা ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলার জন্য শোক প্রস্তাবের দাবি জানাই তখন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসে মিটিমিটি হাসতেন।”
বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত এই আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা হাজি মোহাম্মদ সেলিম, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী ও বঙ্গবন্ধু একাডেমির সভাপতি হুমায়ুন কবির মিজি উপস্থিত ছিলেন।