পঞ্চগড় সদরের শিংরোড রতনিবাড়ি এলাকা থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ধরে নিয়ে যাওয়ার একদিন পর এক বাংলাদেশি জেলের লাশ পাওয়া গেছে।
Published : 22 Aug 2014, 07:42 PM
পঞ্চগড় থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, শুক্রবার দুপুরে যমুনা নদীর বাংলাদেশ অংশ থেকে আক্তারুল ওরফে নেন্দর (২৮) লাশ উদ্ধার করা হয়। আক্তারুল শিংরোড প্রধানপাড়া গ্রামের প্রয়াত হেকমত আলী ছেলে।
বৃহস্পতিবার সীমান্ত এলাকায় একটি খালে মাছ ধরার সময় বিএসএফ আক্তারুলকে ধরে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফুল হক, পঞ্চগড় থানার ওসি হুমায়ুন কবীরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।
আক্তারুলের শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান পুলিশ ও বিজিবি কর্মকর্তারা।
লে. কর্নেল আরিফুল হক জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে আক্তারুল সীমান্তের কাছে বাংলাদেশ এলাকায় একটি খালে মাছ ধরতে গেলে বিএসএফের সাকাতিপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে যায়।
শুক্রবার দুপুরে বিএসএফের একটি গাড়ি ওই সীমান্ত এলাকার যমুনা নদীর ভারতীয় অংশে আক্তারুলের লাশ ফেলে দেয়।
আরিফুল হক আরো জানান, এ সময় এলাকাবাসী দেখতে পেয়ে বিজিবি ও পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে শিংরোড বিজিবি ক্যাম্প ও পঞ্চগড় থানা পুলিশ নদী থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
আক্তারুলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন ছিল বলে জানান লে. কর্নেল আরিফুল।
বিজিবির পক্ষ থেকে এ ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
আক্তারুলের ভাই সফিয়ার রহমান বিএসএফ তাকে নির্যাতন করে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।