লেখক অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন কবি বদরুল আলমসহ দুজন।
Published : 21 Apr 2014, 07:44 PM
সোমবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদরুল আলমের সঙ্গে সাক্ষ্য দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান। আগামী ২৯ মে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ হবে।
ঢাকায় জঙ্গি হামলায় আহত হুমায়ুন আজাদ জার্মানিতে মারা যাওয়ার পর ময়না তদন্ত প্রতিবেদন আনতে বার্লিনে চিঠিটি পাঠিয়েছিলেন মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সহকারী সচিব আনিসুজ্জামান।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে একুশে বইমেলা থেকে ফেরার পথে বাংলা একাডেমির উল্টো পাশের ফুটপাতে কুপিয়ে আহত করা হয় হুমায়ুন আজাদকে।
লেখার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে জঙ্গিরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপককে হত্যার চেষ্টা চালায় বলে পরে তদন্তে উঠে আসে।
ঘটনার পরদিন হুমায়ুন আজাদের ভাই মঞ্জুর কবির রমনা থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।
হামলার কয়েকমাস পর গবেষণার জন্য জার্মানিতে যান হুমায়ুন আজাদ। ওই বছরের ১২ অগাস্ট মিউনিখে নিজের ফ্ল্যাট থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এরপর তা হত্যামামলায় রূপান্তরিত হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- মো. মিজানুর রহমান মিনহাজ ওরফে শফিক ওরফে শাওন ওরফে হামিম ওরফে হাসিম, আনোয়ারুল আলম ওরফে ভাগ্নে শহীদ, নূর মোহাম্মদ শামীম ওরফে জে এম মবিন ওরফে সাবু, সালেহীন ওরফে সালাউদ্দিন ওরফে সজীব ওরফে তাওহিদ এবং হাফেজ মাহমুদ ওরফে রাকিব ওরফে রাসেল।
নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) এই সদস্যদের মধ্যে সাবু, মিজান ও সালেহীন পলাতক রয়েছেন।
সোমবার সাক্ষ্যগ্রহণের সময় অন্য দুই আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
বদরুল ও আনিসুজ্জামানকে নিয়ে এই মামলায় ৫৮ সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্য নেয়া হল।