মানবতাবিরোধী অপরাধে মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির খবর শুনে তার নিজ জেলা শেরপুরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
Published : 09 May 2013, 10:07 AM
মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবার, একাত্তরে নির্যাতিতসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সবাই আনন্দে মেতে ওঠে।
আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, জেলা সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম আনন্দ মিছিল করেছে।
রায় শোনার জন্য সকাল থেকে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় এবং শেরপুর টাউন হলের সামনে অপেক্ষা করতে থাকেন।
টেলিভিশনে খবর প্রচারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়েন মানুষ।
‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিতে থাকে জনতা। শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন স্থানে মানুষ মিষ্টি বিতরণ করেছে।
সংসদ সদস্য আতিউর রহমান আতিক, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহবায়ক ভাষা সৈনিক মো. আব্দুর রশীদসহ মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামান একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ছাত্রসংঘের ময়মনসিংহ জেলার সভাপতি ছিলেন। বৃহত্তর ময়মনসিংহের শেরপুরের বাজিতখিলায় ছিল তার বাড়ি।
একাত্তরে এই এলাকার ইসলামী ছাত্রসংঘের বাছাই করা নেতাকর্মীদের নিয়ে আলবদর বাহিনী গড়ে তোলেন তিনি।
এই বাহিনী বৃহত্তর ময়মনসিংহে (ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর ও টাঙ্গাইল) গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও দেশত্যাগে বাধ্য করাসহ মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অপরাধ ঘটায় বলে প্রসিকিউশনের অভিযোগে বলা হয়।