সীমান্ত হত্যা নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে আবারও ‘সতর্ক দৃষ্টি’ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত।
Published : 07 Dec 2021, 08:52 PM
ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে বৈঠকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন মঙ্গলবার এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, “বর্ডার ইস্যু, তারা নিজেরাই বলেছেন, তারা এগুলোর প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন এবং একটি ফর্মুলা দিয়েছেন, যাতে ঝামেলা না হয়।”
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আলোচনায় বরাবরই সীমান্ত হত্যার বিষয়টি আসে। ভারতের পক্ষ থেকে বারবার আশ্বাস এলেও সে দেশের সীমন্তরক্ষীদের হাতে বাংলাদেশিদের মৃত্যু থামছে না।
ভারত সরকার বলে আসছে, সীমান্তে অপরাধের কারণেই এসব ঘটনা ঘটছে। অপরাধের কারণে ভারতের নাগরিকরাও থাকছেন হতাহতদের মধ্যে।
মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাব বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ভারত সীমান্তে গুলিতে ও নির্যাতনে নিহত হয়েছেন অন্তত ১১ বাংলাদেশি। ২০২০ সালের ১২ মাসে এই সংখ্যা ছিল ৪৮ জন।
ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের বাংলাদেশ সফর সামনে রেখে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সফরেও সীমান্তে প্রাণক্ষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে শ্রিংলার আলোচনার বিষয়বস্তু তুলে ধরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ ও চমৎকার সম্পর্কের মধ্যেও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যাকাণ্ড কাঁটা হয়ে রয়েছে।
“ভারতের সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলোর কাছে বিষয়টি তুলে ধরতে পররাষ্ট্র সচিবের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন মন্ত্রী।”
“সেখানে অনেকগুলো ইস্যু এসেছে, তারাও চায় না যে এমন কাজ হোক যাতে দুদেশের মধ্যে কোনো ধরনের… আমরা সম্পর্ককে সলিডিফাই করতে চাই, যাতে উভয় দেশের জনগণের কল্যাণ হয়।”
অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “পানি সম্পর্কেও আলাপ হয়েছে। সবগুলো বিষয় আমরা সমাধান করব, আলোচনা মাধ্যমে, সব বিষয় ত্বরান্বিত করা হবে।”