ঈদের দ্বিতীয় দিনেও ঢাকার বিভিন্ন সড়ক, অলি-গলিতে চলছে পশু কোরবানি।
Published : 22 Jul 2021, 10:21 AM
বুধবার ঈদের দিনে কোরবানি বেশি হলেও বৃহস্পতিবারও সংখ্যায় তা একেবারে কম ছিল না।
লালবাগ আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আল ইমাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সাতটি গরু জবাই করেছেন তিনি।
ঈদের দিন ১০টি গরু জবাই করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যান্য বছর তৃতীয় দিনেও কোরবানি হয়। তবে এবছর কেমন হবে, তা বোঝা যাচ্ছে না।
কোরবানির ঈদে এলাকা ঘুরে ঘুরে ধর্মীয় আচার মেনে গরু-ছাগল জবাই করেন আল ইমামের মতো মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা।
প্রতিটি গরু জবাই করে কত টাকা পান- জানতে চাইলে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী বলেন, “কেউ চামড়া দেয়, কেউ টাকা দেয়। এটা নির্দিষ্ট না।”
রহমত উল্লাহ নামে এক কসাই বলেন, “আজ (বৃহস্পতিবার) সাতটি গরু তৈরির কথা রয়েছে। চারজনের দল নিয়ে ইতোমধ্যে দুটির কাজ শেষ করেছি।”
আরেকটি কসাইয়ের দলকে দেখা গেল ছুরি, চাপাতি নিয়ে দ্রুত বেগে যেতে; কাজের তাড়ায় কথা বলারও সময়ও ছিল না তাদের।
আজিমপুর, লালাবাগসহ পুরান ঢাকার অলিগলিতে ঘুরে দেখা যায় প্রথম দিনের মতই গরু জবাই করা হচ্ছে।
আবার অনেক বাসার ফটকের সামনে কোরবানির গরু বাঁধা দেখা যাচ্ছে।
এক মাদ্রাসার শিক্ষার্থী বলেন, “আজ যে গরুগুলো জবাই করেছি, প্রায় সবই ব্যবসায়ীদের গরু। ব্যবসায়ীরা একটু আরাম আয়েশে করে সময় নিয়ে একদিন পর কোরবানি দেয়।”
আজিমপুরের গাড়ি ব্যবসায়ী অপু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রতি বছর তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা ঈদের পরদিন কোরবানি দেন।
তিনি বলেন, ঈদের দিন নামাজের পর কবরস্থানে যাই। তারপর বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় যাই, অনেক স্বজন বাসায় আসেন। তাই ঈদের দিন আর কোরবানি দেওয়া হয় না।
“ছোট বেলা থেকেই ঈদের দ্বিতীয় দিনে কোরবানি দেওয়ার অভ্যাস আর যায় কী করে,” বলেন তিনি।