রাজধানীতে বিপুল পরিমাণ নকল এবং অনুমোদনবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ বিভিন্ন ধরনের টেস্টিং কিট বিক্রির অভিযোগে ৯ জনকে আটক করেছে র্যাব।
Published : 16 Apr 2021, 06:42 PM
এসব কিট ও রি-এজেন্ট জন্ডিস, ডায়াবেটিকস, নিউমোনিয়া, করোনাভাইরাস, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষায় ব্যবহার করা হতো।
র্যাব - ২ এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র্যাব – ২ বৃহস্পতিবার বিকালে থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ায় বায়োল্যাব ইন্টারন্যাশনাল এবং তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বনানীতে অবস্থিত এক্সন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিস ও হাইটেক হেলথকেয়ারের ওয়্যারহাউসে অভিযান চালিয়ে প্যাথলোজিক্যাল পরীক্ষায় ব্যবহার করা এসব সরঞ্জাম আটক করে।
র্যাবের হাকিম ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর এ অভিযান চালায়।
অভিযানের সময় আটক ৯ জন হলেন, শামীম মোল্লা (৪০), মো. শহীদুল আলম (৪২), মো.মাহমুদুল হাসান (৪০), এস এম মোস্তফা কামাল (৪৮), আবদুল্লাহ আল বাকী ছাব্বির (২৪), মো. জিয়াউর রহমান (৩৫), মো. সুমন (৩৫), জাহিদুল আমিন পুলক (২৭) ও মো. সোহেল রানা (২৮)।
অভিযানকালে কর্মকর্তারা দেখতে পান, প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিশেষ ধরনের প্রিন্টিং মেশিনের সাহায্যে মেয়াদোত্তীর্ণ এবং অল্প কয়েক দিনের মধ্যে মেয়াদ শেষ হবে এমন বিভিন্ন টেস্ট কিট ও রি-এজেন্টের মেয়াদ বাড়ানোর কাজ চলছে।
কর্মকর্তারা যাচাই করে দেখতে পান, মজুদ করা মেডিকেল ডিভাইসের বেশিরভাগই অননুমোদিত এবং বিভিন্ন টেস্ট কিট ও রি-এজেন্ট মেয়াদোত্তীর্ণ। পরে বিপুল পরিমাণ এসব সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
অভিযুক্তরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, এসব মেয়াদোত্তীর্ণ কিট ও রি-এজেন্ট দেশি-বিদেশি আমদানিকারক ও সরবরাহকারীদের কাছ থেকে অল্প মূল্যে সংগ্রহ করে তারা আবার বাজারজাত করত।