‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স মেন’ শীর্ষক প্রতিবেদনের জন্য আল-জাজিরা টেলিভিশনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার আবেদন হয়েছে ঢাকার আদালতে।
Published : 17 Feb 2021, 12:58 PM
বুধবার এই আবেদনটি করা হলে বাদীর জবানবন্দি নিয়ে ঢাকার মহানগর হাকিম আশেক ইমাম পরে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে গেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন হয়।
এক্ষেত্রে তা না থাকায় বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বাদী আইনজীবী আবদুল মালেক (মশিউর মালেক) সাংবাদিকদের বলেন, “আদালত নিজ ক্ষমতা বলে এই অনুমোদন বিষয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেন।”
বাদী পক্ষের আরেক আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হীরণ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মামলা আমলে নেওয়ার জন্য অবশ্যই অনুমোদনের প্রয়োজন হবে এবং আদালত তা নিজ ক্ষমতাবলে ব্যবস্থা করে নিতে পারবেন।”
আল-জাজিরার প্রতিবেদনের সমালোচনা করে আসা তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ একদিন আগে বলেছিলেন, “কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি যদি আদালতে যায়, সেক্ষেত্রে আদালত থেকে যদি কোনো নির্দেশনা পাই, তাহলে আদালতের নির্দেশনা অবশ্যই আমরা (সরকার) পালন করব।”
মামলার আবেদনে আসামি করা হয়েছে- আল জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোস্তেফা সউয়াগ, শায়ের জুলকারনাইন ওরফে সামি, নেত্র নিউজের সম্পাদক তাসনিম খলিল এবং যুক্তরাজ্য প্রবাসী ডেভিড বার্গম্যানকে।
মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে, “আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে একই উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অপপ্রচার চালিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক অপরাধে লিপ্ত আছেন।
“গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স মেন’ নামে বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী ভুয়া মিথ্যা তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদন প্রচার করে এবং উক্ত প্রতিবেদন ইউটিউবেও ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়, যা দেশে বিদেশে বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্রের সুনাম ও মর্যাদার হানি ঘটিয়েছে।”
আরজিতে আরও বলা হয়, “আসামিরা তাদের এহেন অবৈধ ষড়যন্ত্রমূলক অবৈধ কার্যক্রমের দ্বারা দেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বৈধভাবে প্রতিষ্ঠিত সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে, যা বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ১২৪/১২৪(এ)/১০৯/৩৪ ধারায় অপরাধ।
“যা সঠিকভাবে তদন্তের মাধ্যমে প্রকাশিত আসামিসহ তাদের নেপথ্যের মদদদাতা, অর্থের যোগানদাতা ও মূল পরিকল্পনাকারীদের নাম ঠিকানা উদঘাটনসহ উপযুক্ত আইনানুগ শাস্তির ব্যবস্থা হওয়া একান্ত প্রয়োজন।”