অভিযোগপত্র জমার একবছর পেরিয়ে গেলেও রাজধানীর কালাচাঁদপুরে গারো কিশোরীকে ধষর্ণ মামলায় অভিযোগ গঠন করা যায়নি।
Published : 21 Oct 2020, 06:49 PM
গত বছরের ৬ অক্টোবর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলায় অভিযোগপত্র জমার পর গত বছরের ১৮ নভেম্বর ঢাকার ৮ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলাটি স্থানান্তরিত হয় বিচারের জন্য।
এরপর থেকে দফায় দফায় তারিখ পড়লেও মামলার একমাত্র আসামি ইউসুফকে কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির না করার কারণে মামলার বিচার শুরুর নির্দেশও আসেনি।
বুধবার ছিল মামলাটিতে অভিযোগ গঠনের তারিখ। কিন্তু আসামিকে এদিনও আদালতে হাজির না করায় আবার নতুন তারিখ পড়েছে।
ট্রাইবুনালের বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীন আগামী ১৯ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের তারিখ রেখেছেন।
এদিন আসামির আইনজীবী আমিনুল গণী টিটো বিচারককে বলেন, “এর আগেও বেশ কয়েকটি তারিখে আসামিকে কারাগার থেকে ট্রাইবুনালে হাজির করা হয়নি। বিষয়টি উদ্দেশ্যমূলক ও রহস্যময়।
“আপনি এর আগে কারা কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানতে কারণ দর্শানোর কথা বলেছিলেন। আমরা জামিন চাইলেও তা নাকচ করা হয়েছে। আমরা আজকেও কারা কর্তৃপক্ষকে কারন দর্শানোর আবেদন রাখছি।”
বিচারক বলেন, “মহামারীর কারনে গুরুত্বপূর্ণ মামলা ছাড়া অন্য আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হচ্ছে না। এ বিষয়ে হাই কোর্টের নির্দেশনাও রয়েছে। যে কারনে কারা কর্তৃপক্ষকে আরও একবার সুযোগ দিতে চাই।”
গতবছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি কালাচাঁদপুরের বৌবাজার এলাকার বাসায় কিশোরী ওই গৃহকর্মীকে ধর্ষণ করেন গৃহকর্তা ইউসুফ।
ইউসুফের দ্বিতীয় স্ত্রী একজন গারো। তার সূত্রেই বাসায় গৃহকর্মে এসেছিলেন ওই কিশোরী।
ধর্ষণের ঘটনার পর ওই কিশোরীর চাচাত বোন থানায় মামলা করেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০৮ সালে ইউসুফ গারো নারীকে বিয়ে করে তা নিজের পরিরারের কাছে গোপন রেখেছিলেন। ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।