ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে গত ১১ অক্টোবর অভিযোগপত্র জমা হওয়ার পর তা যাচাই করে ৩ নভেম্বরে ঢাকার ৮ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে পাঠানো হয়।
আসামি ইউসুফ একটি মোবাইল কোম্পানিতে টেকনিশিয়ানের কাজ করতেন। তার বাড়ি নোয়াখালীর লক্ষ্মীনারায়ণপুরে।
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এখন মামলার অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার তারিখ রাখবেন। এরপর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে বিচার প্রক্রিয়া।
মামলাটিতে বাদীর ব্যক্তিগত আইনজীবী নিপারসন আজিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মামলার অভিযোগপত্র এসেছে বলে জানেন।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কালাচাঁদপুরের বৌবাজার এলাকার বাসায় কিশোরী ওই গৃহকর্মীকে ধর্ষণ করেন গৃহকর্তা ইউসুফ।
ইউসুফের দ্বিতীয় স্ত্রী একজন গারো। তার সূত্রেই বাসায় গৃহকর্মে এসেছিলেন ওই কিশোরী।
ধর্ষণের ঘটনার পর ওই কিশোরীর চাচাত বোন থানায় মামলা করেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০৮ সালে ইউসুফ গারো নারীকে বিয়ে করে তা নিজের পরিরারের কাছে গোপন রেখেছিলেন। ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তবে পরে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্য মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আবেদন করেন ইউসুফ।