ছায়ানট ভবন ও আশার প্রধান কার্যালয়সহ শতাধিক ভবনের স্থপতি বশিরুল হক আর নেই।
Published : 04 Apr 2020, 10:35 PM
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শনিবার তার মৃত্যু হয়েছে।
বশিরুল হকের বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
স্থপতির স্ত্রী অধ্যাপক ফেরদৌস আজিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন তিনি। শুক্রবার শরীর খারাপ লাগছিল। শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় মারা যান স্থপতি বশিরুল হক।”
বশিরুল হকের মরদেহ ঢাকায় নিজ বাসায় রাখা হবে। রোববার সকালে বাহ্মণবাড়িয়ার গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে পারিবাবিক করবস্থানে দাফন করা হবে তাকে।
প্রয়াতের স্ত্রী অধ্যাপক ফেরদৌস আজিম ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের চেয়ারপারসন।
তাদের বড় ছেলে তারেক ওমর আলী আমেরিকার একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। আর ছোট ছেলে যাইন আলি পার্থ জীববিজ্ঞানী হিসেবে সুইডেনে কর্মরত।
স্থপতি বশিরুল হক গত বছর ‘হামিদুর রাহমান পুরস্কার’ পান। এর আগে আগা খান অ্যাওয়ার্ড ফর আর্কিটেকচারের জন্য ১৯৮০, ১৯৯২ ও ২০০১ সালে মনোনীত হন তিনি।
বশিরুল হক ১৯৪২ সালের ২৪ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পকিস্তানের লাহোরের ন্যাশনাল কলেজ অফ আর্টস থেকে ব্যাচেলর অফ আর্কিটেকচার ডিগ্রি লাভ করেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি নেন তিনি।
বশিরুল হকের স্থাপত্যশৈলীতে সাংস্কৃতিক উপাদান, স্থানীয় বিষয়বস্তু, শহুরে টেকসই নির্মাণ এবং প্রাকৃতিক আলো ও বাতাসের ব্যবহার লক্ষণীয়।
তার নকশাকৃত ভবনে হস্তনির্মিত ইট, কংক্রিট, ও প্রাকৃতিক কাঠের মতো উপাদানের ব্যবহার দেখা যায়।
বশিরুল হকের করা স্থাপনার মধ্যে রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাতশালা হাউজ, মগবাজারের রমনা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স, সেঞ্চুরি অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স, সেঞ্চুরি টাওয়ার, ধানমন্ডির লেক ভিউ অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স, সেগুনবাগিচা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স, ইন্দিরা রোডে কালিন্দি অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স, ধানমন্ডির ধানসিঁড়ি অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স, অশ্রু অ্যাপার্টমেন্ট ও গুলশান প্রাইড।
এছাড়াও তার নকশায় করা অফিস ভবনের মধ্যে রয়েছে মহেশখালীর কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট সেন্টার, কক্সবাজার জার্মান রেড ক্রস কমিউনিটি বেসড মাল্টিপারপাস সাইক্লোন শেল্টারস, সাইক্লোন রেসিস্ট্যান্ট হাউজিং কক্সবাজার ও ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টার।