রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগে তিনজন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছে হাই কোর্ট।
Published : 29 Jan 2020, 10:23 PM
সেই সঙ্গে তিন শিক্ষকের নিয়োগও বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে রায়ে।
এক রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ রায় দেয়।
গত বছরের ৩০ জুলাই তিন শিক্ষকের ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির সুপারিশ ছাড়াই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করায় তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট করেন প্ল্যানিং কমিটির সদস্য অধ্যাপক আলী আসগর।
তখন রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পর গত বছর ২১ অগাস্ট হাই কোর্ট রুল জারি করে।
রুলে ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বুধবার এ রায় দিল আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিপন কুমার বড়ুয়া ও ফুয়াদ হাসান।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. কামরুজ্জামান।
আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া পরে সাংবাদিকদের বলেন, প্ল্যানিং কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৬ সালে ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের তিনটি শূন্য পদের বিপরীতে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে ৩৮ জন আবেদন করলেও পরে তা আর এগোয়নি।
গত বছর নতুন আরেকটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে প্ল্যানিং কমিটির সুপারিশ ছাড়াই প্রভাষক পদে আবেদনের জন্য যোগ্যতা শিথিল করা হলে রিট আবেদনটি করা হয়।
রুল বিচারাধীন অবস্থায় চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় ওই বিজ্ঞপ্তির আলোকে তিন শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়।
আদালত রায়ে ওই তিন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল ঘোষণা করেছেন।
এ আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন, রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে ২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তির আলোকে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলেছে আদালত।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী মো. কামরুজ্জামান।
গত ২৬ জানুয়ারি উপাচার্যের বাসভবনে নিয়োগ সাক্ষাৎকার শেষে সিন্ডিকেট সভায় যে তিনজনের নিয়োগ অনুমোদন করা হয়েছিল তারা হলেন- শামসুন্নাহার, মুখতার হোসেন ও রেজভী আহমেদ ভুঁইয়া।