ঢাকার আফতাবনগরের একটি বাসা থেকে ১৩ জন রোহিঙ্গা তরুণীকে উদ্ধার করেছে র্যাব। তাদের বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে জড়ো করা হয়েছিল বলে সন্দেহ কর্মকর্তাদের।
Published : 26 Jan 2020, 08:22 PM
ওই বাসা থেকে মানব পাচারকারী সন্দেহে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে র্যাব-৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ বি এম ফয়জুল ইসলাম জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আফতাব নগরের ২ নম্বর সড়কের একটি বাড়ির ওই ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার মিয়ানমারের নাগরিক ১৩ তরুণীর সবার বয়স ১৮ বছরের কাছাকাছি।
সেখান থেকে কবির আহমেদ (৪০) ও মো. এমরান (২৮) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “গ্রেপ্তাররা স্বীকার করেছে গত ডিসেম্বর মাসে সাতজন এবং চলতি মাসে এ পর্যন্ত পাঁচজনকে দেশের বাইরে পাচার করেছে তারা। মূলত এই চক্রটি এসব তরুণীদের দেশের বাইরে যৌনকর্মী হিসেবে ব্যবহারের জন্য আন্তর্জাতিক পাচারকারীদের কাছে বিক্রি করে দেয়।”
র্যাব কর্মকর্তা ফয়জুল জানান, তারা ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহায়তায় এসব তরুণীদের পাসপোর্ট বানিয়ে দেন।
“সেই পাসপোর্ট দিয়ে মালয়েশিয়া ও দুবাই পাঠিয়ে দেয়। সেখানে বারে কাজ বা যৌনকর্মে জড়াতে তাদের বাধ্য করা হয়।”
গ্রেপ্তার দুজনের বাড়ি টেকনাফে জানিয়ে এই র্যাব কর্মকর্তা বলেন, “অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে চক্রটি বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের তরুণীদের কৌশলে ঢাকায় নিয়ে আসে এবং পাচার করে থাকে।”