অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আলোচিত ঠিকাদার জি কে শামীম ও বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
Published : 07 Nov 2019, 04:59 PM
বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে হাজির করা হলে ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম জানান।
আদালতে তাদের পক্ষে সৈয়দ শাহ আলমসহ দুই আইনজীবী জামিন চান। আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
দুদকের আইনজীবী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুদক তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আপতত আর জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন নেই। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে আদালতের অনুমতি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।”
গত ২৭ অক্টোবর দুদকের এক আবেদনে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. আল মামুন তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের হেফাজতে দিয়েছিলেন।
ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুব সংগঠন যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদকে। এরপর যুবলীগ থেকেও তাকে বহিষ্কার করা হয়।
তখন অস্ত্র, মাদক ও মুদ্রাপাচার আইনে খালেদের বিরুদ্ধে চারটি মামলা হয়। ওই মামলাগুলোতে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে পাঠানো হয়েছিল কারাগারে।
গত ২১ অক্টোবর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ খালেদ ও শামীমের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা হয়।
খালেদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। মামলায় তার বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৯ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
অপরদিকে জি কে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন। তার বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে ২৯৭ কোটি আট লাখ ৯৯ হাজার ৫৫১ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
জি কে শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয় ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে। সেখান থেকে নগদ প্রায় দুই কোটি টাকা, পৌনে দুইশ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানায় র্যাব। তখন শামীমের সঙ্গে তার সাত দেহরক্ষীকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
শামীমের বিরুদ্ধেও মাদক, মুদ্রা পাচার ও অস্ত্র আইনে তিনটি মামলা হয়েছে।