খুন, ধর্ষণ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কর্মসূচিতে গিয়ে ‘বিচার বহির্ভূত’ হত্যাকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নূর।
Published : 10 Jul 2019, 05:37 PM
সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’র ব্যানারে বুধবার শতাধিক শিক্ষার্থীকে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন নূর।
দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা থেকে শুরু করে শাহবাগ, মৎস্য ভবন, হাই কোর্ট মোড়, দোয়েল চত্বর, শহীদ মিনার ঘুরে অপরাজেয় বাংলায় ফিরে শেষ হয় মিছিল।
সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্যে নূর বলেন, “সমাজের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে অন্যায় খুন, ধর্ষণ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বাংলার ছাত্র সমাজকে জাগতে হবে, এদেশের প্রতিটি স্তরে অবিচার, অন্যায় ধারণ করে যাচ্ছে এবং সেটা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাচ্ছে। এ মুহূর্তে যদি আমরা না জাগি তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। পরবর্তী প্রজন্মের কাছে আমাদের ধিক্কার শুনতে হবে।
নূর বলেন, “যেখানে সবাই বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চায় না সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কার ইন্ধনে এই বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। আমরা বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চাই না। প্রয়োজনে বিচারের মাধ্যমেই অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করতে হবে।”
‘বিচার না হওয়ায়’ ধর্ষণ বন্ধ হচ্ছে না বলে মনে করেন ডাকসুর ভিপি নূর।
তিনি বলেন, “শিশু থেকে নব্বই বছরের বৃদ্ধা কেউ ধর্ষকের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। যেখানে পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয় শিশু ও ফুলকে, আর সেই পবিত্রতার প্রতীকের দিকে পাষণ্ডরা যৌনতার দৃষ্টিতে তাকায়। কত বড় বিকৃতমস্তিষ্কের হলে তারা এসব কাজ করতে পারে।
“এর পেছনে তো শুধু ওই ব্যক্তিই দায়ী নয়, এই সমাজ রাষ্ট্রব্যবস্থাও দায়ী। কারণ আমাদের যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি, রাজনৈতিক প্রভাবে আমরা দেখি, অপরাধ করেও অপরাধীরা ক্ষমতার জোরে পার পেয়ে যাচ্ছে। সুতরাং এই ধরনের অপরাধের পুনরাবৃত্তি তো ঘটবেই।”
সব ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনকে এই ধরনের সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান নূর।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে সংগঠনটির আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান ও ফারুক হোসেন বক্তব্য দেন।