আইন মানাতে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে বাজে আচরণ না করতে বাহিনীর নতুন সদস্যদের নির্দেশনা দিয়েছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
Published : 24 Apr 2019, 11:45 PM
পুলিশের অনেক সদস্যের উগ্র আচরণ নিয়ে সমালোচনার মধ্যে বুধবার ঢাকার রাজারবাগ শহীদ এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে ডিএমপিতে সদ্য যোগ দেওয়া শিক্ষানবিশ সার্জেন্টদের উদ্দেশে বক্তব্যে এই নির্দেশনা দেন তিনি।
আছাদুজ্জামান বলেন, “জনগণকে সেবা দেওয়াই আমাদের কাজ। কেউ ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।
কিন্তু কোনো অবস্থায় গালমন্দ, খারাপ আচরণ ও দুর্ব্যবহার করবেন না।”
তিনি বলেন, আইন প্রয়োগে হতে হবে কঠোর, তবে ব্যবহারে হতে হবে বিনয়ী।
“কেউ আপনার উপর চড়াও হলে আপনি শান্ত থেকে দায়িত্ব পালন করুন এবং ঘটনাটি বডিওয়ার্ন ক্যামেরা দ্বারা রেকর্ড করুন।”
ট্রাফিক সার্জেন্টদের কাজের বিষয়ে আছাদুজ্জামান বলেন, “ডিএমপির ট্রাফিক ডিভিশনের কাজ অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। আমি বিশ্বের অনেক দেশ ভ্রমন করেছি, মনে হয় বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ হয় হাতের ইশারায়।
“ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা রমজানে রাস্তায় শুধু পানি খেয়ে ইফতার করে নগরবাসীকে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সকল প্রাকৃতিক বৈরিতা উপেক্ষা করে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে।”
দায়িত্ব পালনে কেউ আহত হলে বা অসুস্থ হলে তার জন্য সর্বোত্তম চিকিৎসার ব্যবস্থা করার কথাও বলেন ডিএমপি কমিশনার।
জনহয়রানিমূলক কাজ না করার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নাগরিক সেবার জন্য ডিএমপির একটি সুনাম ও ভাবমূর্তি আছে। আমরা সবসময় চেষ্টা করি এই সুনাম ও ভাবমূর্তিকে অক্ষুন্ন রাখতে।
“কোনো রকম অনিয়ম ও দুর্নীতি ডিএমপিতে চলবে না। ডিএমপিতে থেকে ডিএমপির সুনাম, মূল্যবোধ ও ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয় এমন কাজ করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক দক্ষিণ) মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) মোসলেহ্ উদ্দিন আহমেদ, ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারগণসহ অন্য কর্মকর্তারা এই সভায় ছিলেন।