বাংলাদেশ নৌবাহিনী একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠেছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভবিষ্যতে আবার ক্ষমতায় এলে এ বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে তার।
Published : 05 Nov 2018, 03:27 PM
সোমবার খিলক্ষেতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘাঁটি ‘শেখ মুজিব’ এর কমিশনিং অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, “১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে নৌবাহিনীর জন্য প্রথম আধুনিক ফ্রিগেড কিনেছিলাম। নৌবাহিনীকে আরো উন্নত কীভাবে করা যায় তার পদক্ষেপ আমরা নিয়েছিলাম এবং নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনাও আমাদের ছিল।
এরপর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে নৌবাহিনীর উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “২০০৯ থেকে ২০১৮, আমি বলব এর মধ্যে নৌবাহিনী আজকে আন্তর্জাতিকভাবে মানসম্পন্ন একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠেছে। তাই নৌবাহিনীকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বানৌজা শেখ মুজিব ঢাকা অঞ্চলের নৌ নিরাপত্তার পাশাপাশি দুর্যোগে মানুষের কল্যাণ ও দুর্ঘটনায় উদ্ধার তৎপরাতায় ভূমিকা রাখবে।
“আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে বানৌজা শেখ মুজিব ঘাঁটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল।… ঢাকা নৌ অঞ্চলে নৌ সদর দপ্তরে একটি ছোট ঘাঁটি ছাড়া আর কোনো ঘাঁটি এর আগে ছিল না।”
এ অনুষ্ঠান থেকেই ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা অঞ্চলে নৌবাহিনীর প্রশিক্ষণ ও আবাসিক ব্যবহারের জন্য ২২টি বহুতল ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া সাভারে বিএন টাউনশিপের ভিত্তি ফলক উন্মোচন করেন।
“সেই লক্ষ্য নিয়ে আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি। একদিকে যেমন দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করে যাচ্ছি, অর্থনৈতিকভাবে দেশকে মজবুত করছি। অপরদিকে আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক এই বাহিনীগুলিকে আধুনিক করা এবং যাতে বিশ্বে একটা মর্যাদা নিয়ে চলতে পারি।”
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের উপযোগী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে। তাই তিনি সশস্ত্র বাহিনীর জন্য প্রতিরক্ষা নীতি তৈরি করে দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী সকালে বানৌজা শেখ মুজিব ঘাঁটিতে পৌঁছালে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন আহমেদ তাকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী বানৌজা শেখ মুজিবের কমিশনিং ফরমান হস্তান্তর করেন ঘাঁটির কমান্ডারকে। পরে তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা অঞ্চলের নৌ কমান্ডার, কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিভিন্ন ঐতিহাসিক অর্জন নিয়ে লেখা ‘বাংলাদেশ নেভি ইন দ্যা টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয় এ অনুষ্ঠানে।