ঢাকায় যানজট কমাতে পথচারীদের জন্য ফুটপাত দখলমুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
Published : 22 Oct 2018, 05:11 PM
সোমবার ঢাকার ফার্মগেইটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে নিরাপদ সড়ক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান তিনি।
কাদের বলেন, “যতই আমরা অবকাঠামো তৈরি করি না কেন আগে প্রয়োজন সড়কের শৃঙ্খলা, পরিবহনে শৃঙ্খলা আনা, এই দুইটা বিষয় হলো সবচেয়ে জরুরি।
“আপনি এই সিটিতে যানজট কীভাবে কমাবেন? পথচারীদের ফুটপাত বেদখল হয়ে গেছে। রিক্লেইম করতে হবে ফুটপাত। পথচারীকে তার জায়গা ফিরিয়ে দিতে হবে। তা না হলে ঢাকা শহরে কখনও আমরা যানজটমুক্ত করতে পারব না।”
যানজটে ক্ষতির চিত্র তুলে ধরে কাদের বলেন, “কত কর্মঘণ্টা, কত অর্থ নষ্ট হচ্ছে, সেটা কি আমরা ভাবি? এসব বিষয়গুলো আজকে আমাদের দেখতে হবে।”
সড়কে শৃঙ্খলা আনতে নিজে চেষ্টা চালিয়ে গেলেও নিজেকে পুরোপুরি সফল ভাবছেন না কাদের।
“আমাকে যখন কেউ সফল মন্ত্রী বলেন, তখন আমি মনে মনে সত্যিই বেদনার অঙ্কুরে একটু বিদ্ধ হই, মনে মনে একটু কষ্ট পাই, সঙ্গে লজ্জাও পাই। কারণ আমার চোখের সামনে যখন বিশাল একটা যানজট তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবং আমি যখন দেখি এই যানজটের মধ্যে আটকে আছে নারী শিশু মুমূর্ষু, রাস্তার মধ্যেই কাউকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে হয়। এসব কবে বন্ধ করতে পারব?”
রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা ‘ঠিক’ হলে সড়কের শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের।
তিনি বলেন, “আমরা যারা রাজনীতি করি, তারা সচেতন না হলে দেশ সচেতন হবে না। আমরা না বদলালে দেশ বদলাবে না। আমরা নিজেরা আজকে আইন করে এই আইন ব্রেক করি। এখনও বিশৃঙ্খলার কাফেলা থামছে না। আমি মন্ত্রী আমি এই দায় এড়াতে পারি না।
“রাজনৈতিক কর্মীরা নিয়ম মানে না, তারাই রাস্তার উপর দিগ্বিজয়ী আলেকজান্ডারের মতো ঘুরে বেড়ায় ঝাঁকে ঝাঁকে। পুলিশ বাধা দিলে তাদের উপর চড়াও হয়। এ ধরনের উচ্ছৃঙ্খল রাজনৈতিক কর্মীদের কাউন্সেলিং করতে হবে ডিসিপ্লিনে ফিরিয়ে আনার জন্য।”
তারপরও কিছু অগ্রগতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন কাদের।
“আমাদের পুলিশের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমরা পেরেছি। এখন দুইজন দুজনেরই হেলমেট। মাঝে মাঝে আমার ইচ্ছে হয় রাস্তায় দাঁড়িয়ে একটা করে গোলাপ দিই।”