শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ ও গবেষণা চৌর্যবৃত্তি (প্লেইজারিজম) মহামারি আকার ধারণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আকবর আলি খান।
Published : 11 Oct 2018, 10:20 PM
সমস্যার সমাধানে জনগণের সচেতনতার পাশাোশি সরকারের পক্ষ থেকেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করেন ২০০৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা।
বৃহস্পতিবার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়েশা আবেদ লাইব্রেরি ও ইন্টারনেটভিত্তিক চৌর্যবৃত্তি সনাক্তকারী প্রতিষ্ঠান ‘টার্নইটইন ইন্ডিয়া’ এর ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন আকবর আলি।
ব্র্যাক স্কুল অব ল’র ডিন অধ্যাপক কে শামসুদ্দিন মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে গবেষণা চুরি সংক্রান্ত বিষয়ে আইনের সুস্পষ্ট নীতিমালা না থাকা ও দুর্বল পর্যবেক্ষণের কারণে শাস্তি প্রদান করা কঠিন হয়ে পড়ছে। গবেষণার ক্ষেত্রে পেটেন্ট এর ওপর আরও গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
ট্রার্নইনইট ইন্ডিয়া এডুকেশনাল প্রাইভেট লিমিটেডের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের ডিরেক্টর অশিম সচদেব বলেন, শিক্ষার্থীদের নৈতিক মূল্যবোধ বাড়াতে পারলে অ্যাকাডেমিক ও গবেষণা ক্ষেত্রে চৌর্যবৃত্তি কমে আসবে। এক্ষেত্রে পরিবার ও প্রতিষ্ঠান সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে। গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক কিংবা প্রকাশক একটু সচেতন হলে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে এ ধরনের চৌর্যবৃত্তি রোধ করতে পারেন।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য এস এন কৈরি, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোনমিক্স অ্যান্ড সোশাল সায়েন্সের অধ্যাপক এটিএম নুরুল আমিন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস’র (সিপিজে) এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মনজুর হাসান, গ্রীন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মো. গোলাম সামদানী ফকির অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।