রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ভোটারের তুলনায় বেশি ভোট পড়েছে অভিযোগ করে ইসলামিয়া কলেজ কেন্দ্রের মাঠে অবস্থান নিয়েছেন বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।
Published : 30 Jul 2018, 02:49 PM
নির্বাচনী কর্মকর্তাদের কাছে ব্যালট পেপারের হিসাব দাবি করে তিনি বলেছেন, বিকাল ৪টায় ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত তিনি ওই মাঠে অবস্থান নিয়ে থাকবেন।
সোমবার সকাল ৮টায় এই সিটির ১৩৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরুর পর বিভিন্ন কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঘুরতে থাকেন ধানের শীষের প্রার্থী বুলবুল। নগরীর স্যাটালাইট টাউন হাই স্কুল কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি তা দেননি।
৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামিয়া কলেজ কেন্দ্রে মেয়রের ব্যালট পেপার দেওয়া হচ্ছে না- এমন খবর পেয়ে দুপুরের আগে ওই কেন্দ্রে ছুটে যান বুলবুল। কেন্দ্রের ভেতরে ঘুরে এসে কলেজের মাঠে ঘাসের ওপর বসে পড়েন এই বিএনপি নেতা।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ওই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যার চেয়েও ‘বেশি ভোট’ বাক্সে পড়ে গেছে। ব্যালট পেপার ফুরিয়ে যাওয়ায় ‘অন্য কেন্দ্র থেকে ব্যালট এনে’ ভোটের কার্যক্রম চালাচ্ছে।
“আমি ১১টা সোয়া ১১টার দিকে এ কেন্দ্রে আসার পরে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার রুমে আমার পোলিং এজেন্টদের নিয়ে ঢুকি, যাদের বের করে দেওয়া হয়েছিল। ওই রুমে যাওয়ার পরে বলা হয়, আমাদের এখানে ৩২৫টি করে ভোট ছিল, সব দেওয়া হয়ে গেছে। দুইটা বুথে মনে হয় ১০০ ব্যালট রয়েছে। ২২৪৮টি ভোটের মধ্যে মেয়রের বাদ বাকি ভোট দেওয়া হয়ে গেছে।”
নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে ব্যালটের হিসাব দাবি করে বুলবুল বলেন, “কী পরিমাণ ভোটার রয়েছে, কী পরিমাণ ভোট পড়েছে- এসব তথ্য না দেওয়া পর্যন্ত আমি উঠব না।”
নিজের ভোট দেননি কেন- এ প্রশ্নে বুলবুল বলেন, “বিপন্ন গণতন্ত্রে আমার পোলিং এজেন্টরাও ভোট দিতে পারে নাই; বের করে দিয়েছ। সেখানে আমার ভোট দিয়ে লাভ কি!”
বিএনপি প্রার্থী বলেন, “আমি এখানে অবস্থান ধর্মঘট করেছি। ৪টা পর্যন্ত জাতির কাছে, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বিবেকের কাছে আমার প্রশ্ন, তাদের সন্তান ও আত্মীয় স্বজনের কাছে আমার প্রশ্ন, জাতিকে আজ কোন দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে?”
বুলবুলের অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আবদুল্লাহ আল শাফি বলেন, “উনি ১টার দিকে এখানে এসেছেন। আমাদের সঙ্গে কথা বলছেন, আমরাও বলেছি।”
পোলিং এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, “পোলিং এজেন্ট যদি চলে যায়, নিয়োগপত্র যদি ঠিকমত না দেন, তাহলে তো আমরা কাউকে ঢুকতে দিতে পারি না। সাতজনের লিস্ট দিয়েছেন, একজনের স্বাক্ষর ছিল না। বাকিদের ঢুকতে দেওয়া হয়েছে।”
তবে ওই কেন্দ্রের বাইরে ভোটের অপেক্ষায় থাকা মোশাররফ হোসেন নামের এক ভোটার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বলা হচ্ছে ব্যালট পেপার নাই। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছি।”
ভোটগ্রহণ বন্ধের বিষয়ে প্রশ্ন করলে প্রিজাইডিং অফিসার বলেন, “ভোট তো চলছে। ভোটে সমস্যা হচ্ছে না।”