মোট ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৭৬ জন রোহিঙ্গাকে নিবন্ধন করানোর কথা জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, আর কোনো অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে নেই।
Published : 11 Jul 2018, 08:46 PM
বুধবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মিয়ানমারে দমন-পীড়নের শিকার হয়ে মুসলিম রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আসা কয়েক দশক আগে থেকে শুরু হয়, যা ক্রমে কয়েক লাখে গিয়ে পৌঁছেছিল।
২০১৭ সালে রাখাইনে সেনা অভিযানের পর বাংলাদেশ সীমান্তে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। নির্যাতিত এই জাতিগোষ্ঠীর জন্য বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে দিলে আরও ৭ লাখের মতো রোহিঙ্গা এদেশে এসে আশ্রয় নেয়।
রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে টালবাহানা করে আসা মিয়ানমার এবার আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে তাদের ফেরত নিতে রাজি হয়। প্রত্যাবাসন এখনও শুরু না হলেও প্রক্রিয়া এগিয়ে রাখতে রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন করানোর উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ।
সংসদে সরকারি দলের সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) মধ্যে ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৭৬ জনকে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে। বর্তমানে অনিবন্ধিত কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে নেই।”
বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া রোহিঙ্গা শিশুদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের জন্য ‘ওয়ার্ক স্টেশন’ সচল রয়েছে বলেও জানান তিনি।
জাসদের শিরীন আখতারের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে দেশের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। মাদকবিরোধী অভিযানের ফলে জঙ্গিবিরোধী অভিযান ব্যাহত হবে না, বরং আরও জোরদার হবে।”
মাদকের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহতের ঘটনার সমালোচনা করে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলে আসছিল, এই অভিযানে অস্ত্রের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার হচ্ছে। এভাবে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা’ বন্ধের দাবিও জানিয়েছেন তারা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পরে দেশবাসী প্রধানমন্ত্রীর জন্য দুই হাত তুলে দোয়া করছেন। তারা বলছেন, এই অভিযান যেন বন্ধ না হয়।”
বিএনএফের এস এম আবুল কালাম আজাদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আইনি কারণে আমরা সীসা সেবনকারীদের আইনের আওতায় আনতে পারছি না। তবে, সরকার মাদক আইন সংশোধনের যে উদ্যোগ নিয়েছে, সেখানে সীসাকে মাদক হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।”
সংরক্ষিত আসনের জাহান আরা বেগম সুরমার প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশের বিভিন্ন কারাগারে বর্তমানে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রয়েছে এক হাজার ৫৯৬ জন। এর মধ্যে ৪৩ জন নারী।