জনগণের রায় মেনে নেবেন জানিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, বিএনপির প্রার্থী ‘মিথ্যা অভিযোগে’ শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে।
Published : 26 Jun 2018, 09:56 AM
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪২৫টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ঘণ্টাখানেক পর জাহাঙ্গীর তার মেয়ে জারাকে সঙ্গে নিয়ে নিজের নানাবাড়ির এলাকা ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে যান ভোট দিতে।
ভোট দিয়ে বেরিয়ে এসে নৌকার প্রার্থী জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, “শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে। জনগণের যে রায় সেটা আমার মেনে নেওয়া উচিৎ। গাজীপুরের উন্নয়নের স্বার্থে মানুষ নৌকাকে বিজয়ী করবে। জনগণের সেবক হিসেবে আমি তাদের রায় চাই।”
বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার তার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে বলে যে অভিযোগ করেছেন, সে বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী জাহাঙ্গীরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকরা।
জবাবে তিনি বলেন, “তারা ভোটের শুরু থেকে এ ধরনের অভিযোগ করে আসছে। এ ধরনের অভিযোগ করে তারা গাজীপুরের মানুষকে দোষারোপ করছে এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা চেষ্টা করছে।”
ভোট শুরুর পর কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিএনপির প্রতীক ধানের শীষের কোনো এজেন্টকে দেখা যায়নি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর বলেন, ভোটে কোনো ধরনের সহিংসতা যাতে না হয়, সেই নির্দেশনা তিনি নিজের নেতাকর্মীদের দিয়েছেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনে প্রথম ভোট হয় ২০১৩ সালের ৬ জুলাই। সেই নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের আজমত উল্লাহ খানকে ১ লাখ ৩২ হাজার ভোটে হারিয়ে মেয়র হন বিএনপির এম এ মান্নান।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ওই নির্বাচনে মেয়র পদে আজমতকে সমর্থন দিলেও দলের সিদ্ধান্তের বিপরীতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম মনোনায়নপত্র জমা দেন।
পরে দলের শীর্ষ পর্যায়ের হস্তক্ষেপে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। কিন্তু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে যাওয়ায় ব্যালট পেপারে তার নাম থেকেই যায়। তাতে হাজার দেড়েক ভোটও পান জাহাঙ্গীর।
এবার গাজীপুরে আওয়ামী লীগের টিকিট পেয়েছেন ৩৯ বছর বয়সী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. জাহাঙ্গীর আলম। অন্যদিকে গতবারের বিজয়ী মান্নানের বদলে বিএনপি এবার প্রার্থী করেছে দলের কেন্দ্রীয় নেতা মো. হাসান উদ্দিন সরকারকে।
এছাড়া সিপিবির কাজী মো. রুহুল আমিন কাস্তে, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মো. জালাল উদ্দিন মোমবাতি, ইসলামী ঐক্যজোটের ফজলুর রহমান মিনার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. নাসির উদ্দিন হাত পাখা, এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আহমদ টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে ভোটের লড়াইয়ে আছেন।