অনেক দূর যেতে চাই: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে আরও অনেক এগিয়ে নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শনিবার জাতীয় সংসদে দেওয়া এক বক্তব্যে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া দলটির সভানেত্রী হাসিনা।

অধিবেশনের শেষ হওয়ার আগে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এদেশের মানুষের সেবা করে যাচ্ছে। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছে। মানুষ আওয়ামী লীগের ওপর যে আস্থা রেখেছে দলটি তার সম্মান দিচ্ছে। সম্মান দিয়ে যাবে।

“নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে এদেশের মানুষ রাষ্ট্রভাষা বাংলা পেয়েছিল, স্বাধীনতা পেয়েছে, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আমরা এখন দেশকে সেই জায়াগায় নিয়ে যেতে পেরেছি যে স্বপ্ন জাতির পিতা দেখতেন। তবে আমরা অনেক দূর যেতে চাই। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দিনবদলের সনদ দিয়েছিলাম। মানুষের দিনবদল হচ্ছে।”

বক্তব্যে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট ও ইতিহাস তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

এ অঞ্চলের শোষিত বঞ্চিত ও দারিদ্র্যপড়িত জনগণের ভাগ্য উন্নয়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ১৯৫৫ সালে অসাম্প্রদায়িক আওয়ামী লীগ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে মুসলিম কথাটি বাদ দেওয়া হয়। ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে যাতে এই দলের সদস্য হতে পারে তার জন্য এটি করা হয়। দল গঠনের পর এ অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক মুক্তির জন্য আওয়ামী লীগ সংগ্রাম করে।

শেখ হাসিনা বলেন, “আওয়ামী লীগই একমাত্র সংগঠন যার নীতি আছে, আদর্শ আছে। একটি দর্শন রয়েছে। স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখানো স্বাধীনতার চেতনার স্বপ্ন দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবই প্রস্তুতি বঙ্গবন্ধু করে রেখেছিলেন। পরিবারের সদস্য হিসেবে তা আমি জানি। পাশাপাশি জনগণের ম্যান্ডেট নিতে নির্বাচনেও অংশ নিয়েছিলেন।

“প্রদেশকে রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আইনকানুনসহ যা যা প্রয়োজন তা করে গেছেন। এখন যেখানেই হাত দেই দেখি তা জাতির পিতা করে গেছেন। যে রাজনৈতিক দল মাটি ও মানুষের থেকে গড়ে উঠে সেই দলই পারে মানুষকে কিছু দিতে। বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন, এদেশের জনগণ যা পেয়েছে তার সবই এসেছে আওয়ামী লীগের হাত ধরে।”

দেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের উন্নয়ন মু্ষ্টিমেয় গোষ্ঠীর জন্য নয়। আমাদের উন্নয়ন দেশের সকল মানুষের উন্নয়ন। আমরা পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম বলেই দেশের মানুষ তার সুফল এখন পাচ্ছেন। বাংলাদেশ সাহায্যের জন্য হাত পেতে চলে-এই কথা কেউ আর এখন বলে না।”