একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহারের প্রস্তুতি ইসির নেই বলে জানিয়েছেন সিইসি কে এম নূরুল হুদা।
Published : 15 Nov 2017, 07:29 PM
নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেননি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি ঢাকায় জনসভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ইভিএম বাদ এবং বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়েনের দাবি তোলার প্রেক্ষাপটে আলোচনার মধ্যে বুধবার নিজের কার্যালয়ে ইসির অবস্থান প্রকাশ করেন সিইসি।
সেনা মোতায়েনের বিষয়ে নূরুল হুদা বলেন, “আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলিনি। অনেক সময় আছে, এত তাড়াতাড়ি আপনারা এ সিদ্ধান্ত চান কেন? এখনও একবছরের বেশি সময় আছে সেই অবস্থানে পৌঁছতে। এত আগে তো সেই সিদ্ধান্ত দেওয়া যাবে না।”
তবে প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনেই সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকে বলে একে ‘বাস্তবতা’ বলে স্বীকার করেন তিনি।
সংলাপে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই সেনা বাহিনী মোতায়েনের পক্ষে বলেছে।
সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন ছিল। তবে বিএনপি সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা নিয়ে রাখার দাবি জানিয়েছে।
এ বিষয়ে কমিশনের মনোভাব কী- জানতে চাইলে সিইসি বলেন, “আমাদের মনোভাবটা কমিশন মিটিংয়ের আগে আমি বলতে পারব না। যেহেতু এটা নিয়ে কমিশনে এখনও আলোচনা করিনি, তাই এখনই বলা যাবে না।”
একজন কমিশনারের সেনা মোতায়েনের পক্ষে বক্তব্য দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি পত্রিকা পড়ে দেখেছি, উনি বলেছেন এটা কমিশনের সিদ্ধান্ত নয়। উনি মনে করেন যে, সেনা মোতায়েন করার প্রয়োজন হবে। এটা তার একটা ব্যক্তিগত মতামত।”
ইভিএম প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, “আমি তো আগেও বলেছি যে, আমরা কিন্তু জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে জন্য ইভিএম নিয়ে প্রস্তুত না। এটা আমরা স্থানীয় পর্যায়ে পরীক্ষামূলকভাবে চালাব। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম প্রয়োগ করার জন্য আমরা একেবারেই প্রস্তুত না।”
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইভিএমের পক্ষে বললেও বিএনপি এতে আপত্তি জানিয়ে আসছে।
আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়েও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নূরুল হুদা।
তিনি বলেন,“আমাদের প্রত্যেকটা নির্বাচন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন তো বটেই, অন্যান্য নির্বাচনও আমরা একেবারেই নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করব।
“জাতীয় নির্বাচনে যাতে মানুষের মধ্যে, ভোটারদের মধ্যে আমাদের প্রতি আস্থার অবস্থান সৃষ্টি হয়,আমরা সেই জন্য অবশ্যই কাজ করে যাব এবং যাচ্ছি।”
সেই বার্তাটা কি রংপুর দিয়িই দেবেন- এক সাংবাদিকের প্রশ্নে নূরুল হুদা বলেন, “সেই বার্তা তো শুরু হয়ে গেছে। কুমিল্লা থেকে এসেছে।
“অন্যান্য নির্বাচন যেগুলো করেছি জাতীয় পর্যায়ে দুটো নির্বাচন করলাম এবং ভবিষ্যতে যে নির্বাচনগুলো করব, রংপুর সিটি করপোরেশনসহ সবগুলো নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা সেই বার্তা পৌঁছে দিতে চাই।”