বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিরা যে গর্তেই লুকিয়ে থাকুক না কেন, তাদের খুঁজে এনে সাজা কার্যকর করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইন মন্ত্রী আনিসুল হক।
Published : 20 Aug 2017, 03:51 AM
রাজনৈতিক আশ্রয়ে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা রাশেদ চৌধুরী এবং কানাডায় থাকা নূর চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার জোর চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও জানান আইন মন্ত্রী।
শনিবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় মন্ত্রী বলেন, খুনি নূর চৌধুরী বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করছে। তিনি কানাডায় অবস্থানের জন্য সেখানকার আদালতে আবেদন করে হেরে গেছেন।
“এখন শুধু একটি গ্রাউন্ডে নূর চৌধুরী কানাডায় অবস্থান করছেন। সেটি হলো- তিনি কানাডায় আবেদন করেছেন তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠালে ফাঁসি দেওয়া হবে। কানাডায় যেহেতু মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ, তাই কানাডা বাংলাদেশকে বলেছে- তাকে ফেরত দিলে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে না।”
রাশেদ চৌধুরীর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকার কথা জানিয়ে আনিসুল বলেন, তাকে ফেরত আনার জন্য আদালতে রিভিউ করা হয়েছে এবং আইনজীবীও নিয়োগ করা হয়েছে।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘরে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা কেন্দ্র আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন আনিসুল হক।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে নিহত হওয়ার পর দীর্ঘ একুশ বছরে কোন সরকারই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য কোন মামলা করেনি।
“বরং ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচারের পথ বন্ধ করে রেখেছিল। শুধু তাই নয়, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। খুনিদের বিদেশি মিশনে চাকরি দিয়েছে। খুনের আলামত নষ্ট করেছে। ফলে খুনিরা বিদেশে শক্তভাবে শিকড় গেড়েছে এবং তাদের ফিরিয়ে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে।”
বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করতে যারা আইন তৈরি করেছিল দেশের জনগণ একদিন তাদের বিচার করে শাস্তি দেবে বলেও আশাবাদ প্রকাশ করেন আইনমন্ত্রী।
“কেবল আদালতেই সবকিছুর বিচার হয় না। কিছু কিছু বিচার সমাজেও করতে হয়। কারণ সমাজেরও কিছু দায়িত্ব আছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার রহস্য উন্মোচনে আরও গবেষণা ও আলোচনা হওয়া উচিত।”
জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন অভিযোগ করে আইনমন্ত্রী বলেন, জিয়া পরিবার জিয়াউর রহমান হত্যার বিচার চায় না, কারণ তারা আইনের শাসনে বিশ্বাসী নয়।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন।
অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসাইন এবং দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায় এতে অংশ নেন।
আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা কেন্দ্রের ট্রাস্ট্রি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।