একাত্তরের বদর নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসির সাজা আপিলেও বহাল থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বিমান মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
Published : 08 Mar 2016, 10:41 AM
মঙ্গলবার সর্বোচ্চ আদালত এই যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মন্ত্রী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ রায়ের মধ্য দিয়ে জাতির প্রত্যাশা পূরণ হলো। এ রায় নিয়ে যেসব বিভ্রান্তি ছিল সেগুলো দূর হলো। যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রক্রিয়া যে অত্যন্ত স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে তা আবারও প্রমাণ হলো।”
“যারা এ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছেন তারা ভুল করছেন। আমি মনে করি আমাদের সবাইকে একনিষ্ঠ থেকে যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রশ্নে সমর্থন দিয়ে যেতে হবে।”
গত ৫ মার্চ একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এ মামলার চূড়ান্ত রায় নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন সরকারের দুইজন মন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে বাদ দিয়ে নতুন বেঞ্চ গঠন করে আপিলের পুনঃশুনানির দাবি জানান। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকও প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করেন তার বক্তব্যে।
ওই মন্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুই মন্ত্রীকে ১৫ মার্চ আদালতে তলব করেছে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।
জামায়াত আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের পর মীর কাসেম ছিলেন একাত্তরের আলবদর বাহিনীর তৃতীয় প্রধান ব্যক্তি। তার যোগানো অর্থেই স্বাধীন বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী পেয়েছে শক্ত ভিত্তি।
একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করা এই দলের দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান এবং দলটির সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ইতোমধ্যে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর মামলাতেও সর্বোচ্চ সাজার রায় এসেছে আপিল বিভাগ থেকে।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য মীর কাসেমের রায়ও শিগগিরই কার্যকর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মেনন।
যেভাবে একাত্তরের ঘাতকদের বিচার হচ্ছে, একইভাবে ‘জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ী’ জামায়াত নিষিদ্ধের জন্যও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।