সরকারের একার পক্ষে সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব নয় মন্তব্য করে দেশের উন্নয়নে এলাকাভিত্তিক সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
Published : 27 Nov 2015, 01:13 PM
শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘নোয়াখালী উৎসব ২০১৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের সরকারের সীমাবদ্ধতা অনেক। সরকারের একার পক্ষে দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তাই সরকারের পাশাপাশি এলাকাভিত্তিক, পেশাভিত্তিক ও অন্যান্য সামাজিক সংগঠনগুলো আঞ্চলিক উন্নয়ন ও সমাজ সংস্কারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।”
উন্নয়নের স্বার্থে নোয়াখালীর ব্যবসায়ীদের নিজ নিজ এলাকায় শিল্প কারখানা স্থাপনের আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
“আজকের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অনেক খ্যাতনামা শিল্পপতিরা উপস্থিত আছেন, যারা নোয়াখালীর কৃতি সন্তান। আপনারা নিজ নিজ এলাকায় একটি করে শিল্প স্থাপন করলে নোয়াখালী একটি শিল্প শহরে পরিণত হবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আপনারা নোয়াখালীতে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে পারেন। এ ব্যাপারে সরকারের সার্বিক সহযোগিতা থাকবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।”
পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে নোয়াখালীর ভৌগলিক অবস্থানের সুযোগ ও প্রাকৃতিক স্থানগুলো যথাযথভাবে কাজে লাগানোর ওপরও গুরুত্ব দেন আবদুল হামিদ।
“নিঝুম দ্বীপের নৈসর্গিক সৌন্দর্য ও ভৌগোলিক অবস্থানগত সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে নোয়াখালীকে একটি মনোরম পর্যটন এলাকায় রূপান্তর করার অবারিত সুযোগ রয়েছে। আমি এ সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই,” বলেন রাষ্ট্রপতি।
“আমার আহ্বান, আমরা যে যেখানে যা কিছুই করি না কেন, পাশাপাশি নিজের এলাকার জন্য ভালো কিছু কাজ করি। এভাবে সবাই যদি কাজ করি, তাহলে ধীরে ধীরে দেশের উন্নতি হবে।”
নোয়াখালী জেলা সমিতি, ঢাকার আয়োজনে এ উৎসবের সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি মো. শাহাব উদ্দিন।
অন্যদের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র আনিসুল হক, নোয়াখালী সদর আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, নোয়াখালী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সামসুল হক, নোয়াখালী উৎসবের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবদুল হাই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।