বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি।
Published : 11 Sep 2015, 10:55 PM
ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে শুক্রবার রাজধানীর গুলশান ক্লাবে সমিতির এক জরুরি বৈঠক থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে, অর্থমন্ত্রীর কাছে রিকোয়েস্ট করছি বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করার জন্য।”
তিনি বলেন, “ভ্যাট আরোপ করলে সেটা ছাত্রদের টিউশন ফি থেকেই আসবে, না হলে আমরা কোথা থেকে দেব।”
চলতি বছর বাজেটে সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট আরোপের পর থেকেই শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে আসছে। ঢাকার বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক আটকে বিক্ষোভ করলে যানজটে কার্যত অচল হয়ে পড়ে রাজধানী।
এরপর সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে এনবিআরের এক ‘ব্যাখ্যায়’ বলা হয়, ভ্যাটের অর্থ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই সরকারকে পরিশোধ করবে। এ জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা কাটা যাবে না, টিউশন ফিও বাড়ার কোনো ‘সুযোগ নেই’।
তবে সরকারের আশ্বাসকে ‘চাতুরি’ আখ্যায়িত করে শনিবার থেকে তিন দিনের ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
ফার ইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “সরকার শিক্ষার্থীদের ওপরে কোনও ভ্যাট নেই বলে জানিয়েছে। কিন্তু বাজেটে যে ভ্যাট আরোপ করেছে, সেটা কে পরিশোধ করবে?”
তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ট্রাস্টি বোর্ডের অধীনে পরিচালিত হয়। তারাই সবকিছু ব্যয় করে। কিন্তু বাজেটে কিংবা এনবিআরের আইনে ট্রাস্টি বোর্ডকে ভ্যাটের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
“বিষয়টি যেহেতু এনবিআরের। সেহেতু আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করব, তারপর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।”
শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার যেভাবে সড়ক আটকে আন্দোলন করেছে, তা ঠিক হয়নি বলেও মন্তব্য করেন কবির হোসেন।
তিনি বলেন, “যদি শিক্ষার্থীরা এভাবে আন্দোলন অব্যাহত রাখে তাহলে তাদেরই লেখাপড়ার ক্ষতি হবে এবং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ই সেশনজটের মধ্যে পড়বে।”