প্রতিটি স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন, ইউনিয়ন পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ড লাইন সংযোগ, সরকারি সব অফিসে যেকোনো দাপ্তরিক আবেদন অনলাইনে করার সুবিধা, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে ব্যাপক কর্মচাঞ্চল্যসহ ডিজিটাল সুবিধার নানা ব্যবহারে পাল্টে যাচ্ছে কেরানীগঞ্জের জীবনযাত্রা।
Published : 27 Dec 2018, 11:02 AM
২০০৮ সালে দিনবদলের সনদ ও ডিজিটাল বাংলাদেশের অঙ্গীকার নিয়ে ক্ষমতায় আসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং তার তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলছে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজ।
তারই ধারাবাহিকতায় কেরানীগঞ্জের (ঢাকা-৩) মাটি ও মানুষের নেতা নসরুল হামিদ বিপুর নেতৃত্বে ঢাকার এই জনপদ উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বাংলাদেশের মধ্যে একটি রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কেরানীগঞ্জ উপজেলার তথ্য-প্রযুক্তি কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, “কেরানীগঞ্জের প্রতিটি স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে। ১২টি স্কুলে স্থাপন করা হয়েছে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব।”
উপজেলার তথ্য-প্রযুক্তি কর্মকর্তা বলেন, কেরানীগঞ্জে গড়ে তোলা হয়েছে নলেজ শেয়ারিং সেন্টার। চালু করা হয়েছে অনলাইনে জরুরি ও বিশেষজ্ঞ স্বাস্থ্য সেবা। দুর্যোগ মোকাবেলায় যেকোনো স্থান থেকে তথ্য পাওয়ার লক্ষ্যে পাইলট প্রকল্প হিসেবে চালু করা হয়েছে ‘দুর্যোগ অ্যাপ’। সকল অফিসারদের টেলিফোন নম্বর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ‘ই-ডিরেক্টরি অ্যাপ’।
এছাড়া কেরানীগঞ্জের বাসিন্দাদের দোরগোড়ায় সরকারি সেবা ও ডিজিটাল সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার অংশ হিসেবে স্বল্প ব্যয়ে ও স্বল্প সময়ে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের (ইউডিসি) মাধ্যমে জমির খতিয়ান পাওয়ার আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ‘পেপারলেস কেরানীগঞ্জ ইউএনও অফিস, নলেজ ডেস্ক এবং ওয়ান-স্টপ সার্ভিস সেন্টার’ও চালু হয়েছে।
শুধু বর্তমানেই নয়, ভবিষ্যতে কেরানীগঞ্জকে ব্যাপকভাবে ডিজিটাল সেবার আওতায় আনতে নানা পরিকল্পনা সাজিয়েছেন নসরুল হামিদ বিপু।
বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতা করার লক্ষ্যে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কেরানীগঞ্জের তরুণদেরকে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, দেশ-বিদেশের প্রতিষ্ঠিত বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পেশা পরামর্শ সভা আয়োজন করা, প্রতিটি ইউনিয়নে উন্নততর কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা এবং কেরানীগঞ্জের সর্বত্র ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা এবং সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এক দশকে ডিজিটাল ক্ষেত্রে কেরানীগঞ্জের অর্জন
# কেরানীগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে ফ্রি ওয়াইফাই জোন করা হয়েছে।
# লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পের আওতায় তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
# ইনোভেশন অ্যান্ড অন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ল্যাব তৈরি করা হয়েছে।
# জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল হিসেবে গত সাড়ে আট বছরে ঘরে ঘরে তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর বিভিন্ন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।
# প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব এবং মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
# সম্প্রতি বিশ্ববিখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় উঠে এসেছে আউট সোর্সিংয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। কেরানীগঞ্জের তরুণদেরকে বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতা করার জন্য দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
# দেশ ও দেশের বাইরে নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পেশা-পরামর্শ সভা আয়োজন করা হবে নিয়মিত।
# জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতিতে সমতার সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করা হবে। #প্রতিটি ইউনিয়নে উন্নততর কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হবে।
# কেরানীগঞ্জের প্রতিটি জায়গায় ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা এবং সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করা হবে।
# তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে তরুণদের সমস্যা সমাধান করার জন্য নিয়মিত তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে।