জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-১ আসনের ওয়ার্কার্স পাটির প্রার্থী মুস্তফা লুৎফুল্লাহ তার নির্বাচনী পোস্টারে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করায় আচরণ বিধির লঙ্ঘন হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী সৈয়দ দীদার বখত।
Published : 21 Dec 2018, 09:38 PM
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া লিখিত অভিযোগে দীদার বখত বলেছেন, তার আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা লুৎফুল্লাহ তার নির্বাচনী পোস্টারে নিজের দল ওয়ার্কার্স পাটির প্রধান রাশেদ খান মেননের ছবি ব্যবহার না করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করেছেন, যা আচরণবিধির লঙ্ঘন।
“এই ছবি ব্যবহার করে দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তার সুনাম ব্যবহার করে জনগণকে বিভ্রান্ত ও ব্ল্যাকমেইল করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছে।”
মহাজোটের আসন ভাগাভাগিতে আওয়ামী লীগ সাতক্ষীরা-১ আসনে বর্তমান সাংসদ লুৎফুল্লাহকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিয়েছে। জাতীয় পার্টির জন্য ২৯টি আসন ছেড়ে দেওয়া হলেও তাতে ‘অসন্তুষ্ট’ জাতীয় পার্টি মহাজোটের বাইরে প্রায় দেড়শ আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী দিয়েছে; যার একটি সাতক্ষীরা-১।
৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জোট শরিক চারটি দলের ১২ জন নৌকা এবং বিএনপির জোট শরিক সাতটি দলের ২৬ জন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।
নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, জোটের মনোনয়নে প্রতীক ব্যবহারের সুযোগ পেলেও শরিক দলের প্রার্থীরা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা কিংবা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছবি তাদের পোস্টারে ব্যবহার করতে পারবেন না।
সে প্রসঙ্গ টেনে দীদার বখত তার চিঠিতে লিখেছেন, “আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করে ব্যক্তি সুবিধা অর্জনের অপচেষ্টা দণ্ডনীয় অপরাধ।”
এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে মুস্তফা লুৎফুল্লাহর ‘যথাযথ বিচার’ করার দাবি জানানো হয়েছে লাঙ্গলের প্রার্থীর চিঠিতে।