২০১০ সালে বাংলাদেশ সফরে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ৪-০ ব্যবধানে হারে নিউ জিল্যান্ড। অন্য ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়।
বুধবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ। তার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ জানান, শেষ ম্যাচে লড়াকু ও ইতিবাচক ক্রিকেট খেলবে পাকিস্তান।
“ওরা নিউ জিল্যান্ডকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়েছে। ওরা এখন ভালো একটি দল। আর এই মুহূর্তে আমরা পুনর্গঠনের পর্যায়ে আছি। আমরা অনেক তরুণ খেলোয়াড়কে নিয়ে চেষ্টা করছি। সার্কেলের ভেতর পাঁচ ফিল্ডার রাখা, দুটি বাউন্সার আর দুই নতুন বলের মতো ব্যাপারগুলোর সঙ্গে মানিয়ে নিতে ওদের আরো সময় লাগবে।”
প্রথম ওয়ানডেতে ৭৯ রানে হারা পাকিস্তান পরের ম্যাচে ৭ উইকেটে হেরে সিরিজ খোয়ায়। দুই ম্যাচে হেরে অতিথি দলের আত্মবিশ্বাস এখন তলানিতে।
“আমাদের বিশ্বাস করতে হবে, আমরা ব্যাপারগুলো পরিবর্তন করতে পারবো। অনেক তরুণসহ আমরা নতুন একটি দল। একটি ভালো ইনিংস বা একটি ভালো স্পেল সব ঘুরিয়ে দিতে পারে।”
প্রথম ম্যাচে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও দ্বিতীয় ম্যাচে সাদ নাসিম অর্ধশতক করেন। এমন ইতিবাচক ব্যাপারগুলো নিয়েই এখন ভাবতে চায় অতিথিরা।
“আমাদের শক্তি দিকগুলো মনে রাখতে হবে। এই কন্ডিশনে আমরা অভ্যস্থ। বাংলাদেশকে আমাদের কৃতিত্ব দিতে হবে। ওরা আত্মবিশ্বাসী একটি দল। আমি মনে করি, আমাদের ব্যাটসম্যান ও বোলাররা ইতিবাচক এবং সেরাটা দিতে চায়। আশাকরি, কাল (বুধবার) ব্যাপারগুলো পরিবর্তন করতে পারবো।”
মিসবাহ-উল-হক, শহিদ আফ্রিদির অবসর পরবর্তী পাকিস্তান দলকে গুছিয়ে নিতে আরো সময় দিতে হবে বলে মনে করেন সাবেক লেগস্পিনার মুশতাক। প্রথম দুই ম্যাচের হার ভুলে শিষ্যদের সামনের দিকে তাকাতে বলেছেন তিনি।
“যদি দুই ম্যাচের কথা আমরা ভাবি তাহলে তৃতীয় ম্যাচে খেলতে পারবো না। ঘরোয়া ক্রিকেট বা নিজের আগের ভালো ব্যাপারগুলো স্মরণ করতে হবে। ওয়াকার (ইউনুস) খেলোয়াড়দের ব্যর্থতা নিয়ে ভয় পেতে না করেছে, তাদের শুধু ইতিবাচক ক্রিকেট খেলে যেতে বলেছে।”