কোকোর মরদেহ আনতে মালয়েশিয়ায় শামীম এস্কান্দার

আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ আনতে মালয়েশিয়া গেছেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Jan 2015, 05:56 AM
Updated : 25 Jan 2015, 07:55 AM

খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, শামীম এস্কান্দার ছাড়াও আরও কয়েকজন আত্মীয় শনিবার রাতে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে মালয়েশিয়ায় রওনা হন।

মুদ্রা পাচারের মামলায় ছয় বছর কারাদণ্ডের সাজা নিয়ে মালয়েশিয়ায় পালিয়ে থাকা আরাফাত রহমান কোকো শনিবার দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। তার বয়স হয়েছিলো ৪৫ বছর।

রোববার জোহরের পর কুয়ালালামপুরের মসজিদে নাগারায় তার জানাজা হবে। বর্তমানে তার মরদেহ ইউনিভার্সিটি অব মালায়া হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।

তার মরদেহ কবে ঢাকায় আনা হবে সে বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে দলটির একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা বলেছেন, সোমবার কোনো এক সময়ে আরাফাত রহমান কোকোর কফিন ঢাকায় পৌঁছাতে পারে।

বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গ্রেপ্তার আরাফাত ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই তখনকার কর্তৃপক্ষের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যান। সেখান থেকে তিনি মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কোকোর সাময়িক মুক্তির মেয়াদ আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর আদালতের ডাকে না ফিরলে তাকে পলাতক দেখিয়ে মুদ্রা পাচারের একটি মামলার বিচার শুরু হয়।

ওই মামলায় ২০১১ সালে ২৩ জুন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাতকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত; সেই‌ সঙ্গে তাকে ১৯ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। তবে বিএনপির দাবি, এই মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত হলেও কোকো দলে সক্রিয় হননি। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে আকস্মিকভাবে আরাফাতকে জাতীয় ক্রিকেট বোর্ডের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য করা হয়।

বিসিবির নির্বাচিত কমিটিকে হটিয়ে আইনের মারপ্যাঁচে উপদেষ্টা কমিটি গঠন করে আরাফাত ও তার সঙ্গীরা তখন বিসিবিকে ‘দখল’ করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।

খালেদার বড় ছেলে তারেকও জরুরি অবস্থার মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়ার পর প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বিদেশ যান। সপরিবারে এখন লন্ডন রয়েছেন তারেক।