পুত্রশোকগ্রস্ত খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখা করে এসে শনিবার বিকালে একথা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ।
শনিবার দুপুরে মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে মারা যান বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ছেলে আরাফাত কোকো। তিনি মুদ্রাপাচার মামলায় ৬ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে বিদেশে পালিয়ে ছিলেন।
আরাফাতের মৃত্যুর খবর পেয়ে খালেদা জিয়ার নিকটাত্মীয়সহ শুভাকাঙ্ক্ষীরা গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে যান। ৩ জানুয়ারি থেকে নিজের কার্যালয়ে রয়েছেন তিনি।
খালেদার সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, “পরিস্থিতি বিবেচনায় খুব দ্রুতই তার লাশ দেশে আনার ব্যবস্থা হচ্ছে। পারিবারিকভাবে অন্যসব বিষয়েও সিদ্ধান্ত হবে।”
অবরোধের মধ্যে ৩৬ ঘণ্টার হরতালের ঘোষণা বিএনপি জোটের পক্ষ থেকে দেওয়ার পর ঘণ্টাখানেকের মধ্যে খালেদার ছেলের মৃত্যু সংবাদ আসে।
এখন কর্মসূচিতে কোনো পরিবর্তন আসছে কি না- সাংবাদিকরা জানতে চাইলে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন বলেন, “ছেলের মৃত্যুতে তিনি খুবই বিমর্ষ আছেন। এই সময়ে ওই সব বিষয়ে কোনো কথা হয়নি।”
আরাফাতের দাফনের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে বিকালে সাংবাদিকদের জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান।
সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম আশরাফউদ্দিন নিজান জানান, আরাফাতের মরদেহ মালইয়া ইউনির্ভাসিটি হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।
রোববার জোহরের নামাজের পর কুয়ালালামপুরে নাগারা মসজিদে জানাজা হবে বলে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার জানিয়েছেন।
মৃত্যুর সংবাদের পর গুলশানে খালেদার কার্যালয়ে যান আরাফাতের শাশুড়িসহ তাদের পরিবারের সদস্যরাও।