গুলশানের কার্যালয়ে আরাফাতের জন্য বিশেষ মোনাজাতের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া শনিবার সন্ধ্যায় সমবেত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্যে একথা জানান।
তিনি বলেন, “আরাফাত রহমান কোকোর জন্য নামাজান্তে আপনারা যে সেখানে অবস্থান করছেন, সেখান থেকে তার আত্মার জন্য দোয়া করবেন। ম্যাডাম বেগম খালেদা জিয়া আপনাদের সকলের কাছে এই অনুরোধ রেখেছেন।
“দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে যে কর্মসূচি চলছে, তা শান্তিপূর্ণভাবে চালিয়ে যাওয়ার জন্যও তিনি (খালেদা জিয়া) দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।”
মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত আরাফাত কোকো শনিবার দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনি মুদ্রাপাচারের মামলায় ৬ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে বিদেশে ছিলেন।
সরকারবিরোধী আন্দোলনে লাগাতার অবরোধের কর্মসূচি দিয়ে দলীয় কার্যালয়ে রয়েছেন খালেদা জিয়া। শনিবার আগামী দুই দিন হরতালের ঘোষণা ২০ দল দেওয়ার পর কার্যালয়ে থাকা অবস্থায়ই ছেলের মৃত্যুর খবর পান তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, দুই ভাইয়ের স্ত্রীদের কাছে ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে অনেকটা নির্বাক হয়ে কেঁদে ফেলেন খালেদা জিয়া।
আরাফাতের মৃত্যুর খবর শুনে খালেদা জিয়ার নিকট আত্মীয় ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা ওই কার্যালয়ে যান তাকে সান্ত্বনা জানাতে। সেখানে ভিড় জমে দলের নেতা-কর্মীদেরও।
রফিকুল ইসলাম বলেন, “আরাফাত রহমান কোকোর জন্য যারা সমবেদনা ও দোয়া করেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বেগম জিয়া।”
বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস জানান, আরাফাতের মরদেহ দেশে আনা ও দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।